অনলাইন ডেস্ক
সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট৷
আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে হিন্দু মহাজোটের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর কেমন আছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির পক্ষে থেকে জানানো দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় হিন্দু সংখ্যালঘু বিষয়ক কমিশন গঠন করা, হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তন না করা, বিশেষ নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের জন্য পার্লামেন্টে ৬০টি সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করা, সরকারি চাকরিতে ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা এবং দুর্গাপূজায় তিনদিন ও রথযাত্রায় একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
সংগঠনটির সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় আজ বলতে বাধ্য হচ্ছে, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় হিন্দু অধ্যুষিত ১৯ জেলায় হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজের বীভৎস নারকীয় রোমহর্ষক ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের এখনও বিচার করা হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের পরিপন্থী পূর্ববর্তী ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার যে নগ্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা এখনও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রভাস চন্দ্র।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা সমূলে নস্যাৎ করার জন্য একটি বিশেষমহল ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। অগ্রসরমুখী বাংলাদেশকে বার বার পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার এক গভীর ষড়যন্ত্র এখনও বিদ্যমান।
গোল টেবিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায়, মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রমুখ।
বিএসডি/এমএম