নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে এক নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। তদন্তাধীন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার ব্রিফিং করা উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এমন মন্তব্য করে।
আদালত বলেছে, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত চলছে। বিষয়টি নিয়ে একেক সংস্থার একেক প্রতিবেদন কাম্য নয়। এ ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তার ব্রিফিংও কাম্য নয়। তদন্ত চলাকালে বিভিন্ন সংস্থার অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য দুঃখজনক। এসবে জনগণের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে। স্পর্শকাতর এসব তদন্তাধীন বিষয়ে কে কথা বলবেন, কতটুকু বলবেন এটা নিয়ে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে তদন্তাধীন বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে হাই কোর্টের আগের রায়ের বাস্তবায়ন কত দূর সেটিও জানতে চেয়েছে আদালত।
এর আগে জনস্বার্থে গত সোমবার রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভুইয়া। এতে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশপ্রধান, কক্সবাজারে র্যাবের সিওসহ ছয়জনকে। রিটকারী আইনজীবী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেসব বক্তব্য পাওয়া গেছে তা অনেকটা সাংঘর্ষিক। সেজন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএসডি /আইপি