মাসুদ পারভেজ
দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ শিক্ষা অর্জনের জন্য বাড়ির বাইরে অর্থাৎ পরিবার ছাড়া কাটিয়েছি। অনেকের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি অথবা কম হতে পারে। প্রিয়জনদের ছেড়ে এই শহর বেশ অপরিচিত ই মনে হয়েছে। অপেক্ষার এই মরুভূমি উপেক্ষা করে বাড়িতে যাতায়াতও ছিলো, কিন্তু তা ঝটিকা মাত্র!
গত বছর মার্চ থেকে পরিবারের সাথে আছি। সময়টা দেড় বছরের কিছু বেশি। প্রত্যেকটি দিন উপভোগ করেছি। পরিবারের সাথে যে অদৃশ্য একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল তার ইতি হয়েছে। কোভিড কাল আমাদের মতো ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যত বড় দুর্যোগ হয়ে এসেছিলো তা অবর্ননীয়। এই দেড় বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের অস্তিত্বের শিকড় আরও বিস্তৃত করেছে। পারিবারিক বন্ধন যে কত মায়া আর অকৃত্রিম আবেগে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়ানো তা ভীষণভাবে হৃদয়ে অনুরোনিতই হয়েছে বলব।
এই সুবর্ণ মধুময় পারিবারিক সময় অনাগত ভবিষ্যতে আর কখনও পাওয়া যাবে কি না কেই বা বলতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব সেই জন্মলগ্ন থেকে আজ অব্দি পারিবারিক শিক্ষা, নীতি ও পরম্পরার সকল রসদগুলো আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার দূর্লভ সুযোগ নষ্ট করা বোকামি। কোভিডের এই ক্রান্তিলগ্নেও আমার অনেক বন্ধুবান্ধব বিয়ে থা সেড়ে নিজেদের পারিবারিক বন্ধনে শৃঙ্খলিত করেছে। যা পারিবারিক সম্প্রীতির আরেক উদাহরণ। আমাদের শিকড় আমাদের স্ব-স্ব পরিবার। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো দেখলাম অনেকেই পরিবারের সাথে আনন্দে কাটানোর এই মুহূর্ত গুলো ক্যামেরাবন্দী করে শেয়ার দিচ্ছে। কি উচ্ছ্বাস আর প্রাণচ্ছল সেগুলো! আহা! তৃপ্তি লাগে।
হয়তো আর খুব বেশিদিন নেই আমাদের এই অঘোষিত ছুটির। এই দীর্ঘ প্রফুল্লতার রেষ নিয়ে সুস্থ পৃথিবীতে সকল ছাত্রছাত্রী ভাই বোন আবার দুরন্তপনায় মেতে উঠুক। শিক্ষা প্রাঙ্গন গুলো ফিরে পাক চিরচেনা কোলাহল আর জ্ঞানের প্রতিধ্বনিতে মুখরিত থাকুক অবিরাম-অবিরত।
আমাদের মা – বাবা রা সুস্থ থাকুক; সবসময়ই বেঁধে রাখুক আপন স্নেহের ডোরে ।
লেখক- মাসুদ পারভেজ
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি