জবি প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করার জন্য সপ্তাহের যেকোন একদিন অনলাইন ক্লাস নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা মনে করছেন সাশ্রয় করার জন্য সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়াই সমাধান নয়।
গণমাধ্যমে একদিন অনলাইন ক্লাস নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জবি প্রশাসন এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করে।
অনলাইন ক্লাসের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা বলেন ক্যাম্পাসে নাহয় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হলো কিন্তু অনলাইন ক্লাস চলার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থী যখন বাসায় লাইট, ফ্যান, ল্যাপটপ আনুষাঙ্গিক জিনিস ব্যবহার করবে তখন আর সাশ্রয় কিভাবে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসেরও প্রতিবন্ধকতা গুলো তুলে ধরে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, সব শিক্ষার্থী বাসায় তাদের রুমে ফ্যান-লাইট জ্বালিয়ে, ল্যাপটপ কিংবা ফোন চার্জে লাগিয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাবে কি করে? এতে কি বিদ্যুৎ অপচয় হবে না রোধ হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোক প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস অনলাইনে না নিয়ে বিদুৎ সাশ্রয়ী করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা নোটিশ দিয়ে নিয়ম করে দিতে পারে, আর অফিস-বিভাগগুলো ওই নিয়ম অনুযায়ী চলবে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, একদিন অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত নয়। উপাচার্য স্যার সব বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে দিলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব হবে। তাছাড়া একটি মনিটরিং টিম গঠন করা যেতে পারে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এখন যেহেতু জ্বালানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সামনের কাউন্সিলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি সপ্তাহে যদি একদিনও অনলাইনে ক্লাস হয় তাহলে গাড়ি বন্ধ থাকবে তখন জ্বালানি সাশ্রয় হবে। আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হবে। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন বন্ধ থাকলে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হতে পারে।
বিএসডি/ফয়সাল