আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শীতকালীন অলিম্পিককে সামনে রেখে চীন দ্রুতগতির স্বয়ংক্রিয় পাতাল ট্রেন চালু করেছে। এটি বিশ্বের প্রথম উচ্চগতির স্বচালিত ট্রেন। তবে এর চেয়ে বড় বিস্ময়ের ব্যাপারটি হলো এ লাইনের একটি ভূগর্ভস্থ স্টেশন। বলা হচ্ছে, এটি ‘বিশ্বের গভীরতম’ ও ‘বৃহত্তম’ দ্রুতগতির পাতাল ট্রেনের স্টেশন।
শীতকালীন অলিম্পিকের ক্রীড়াবিদ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়া করতে বেইজিং ও ঝাংজিয়াকউ শহরের পথে দ্রুতগতির ট্রেন এরই মধ্যে চলাচল শুরু করেছে। ৫৬ মিনিটের এই পথের যাত্রীরা ব্যবহার করবে বাদালিং গ্রেট ওয়াল স্টেশন নামে আশ্চর্য ওই ভূগর্ভস্থ স্টেশন। চীনের পর্যটকদের কাছে মহাপ্রাচীরের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ হচ্ছে বেইজিংয়ের ইয়াংকিং এলাকার বাদালিং। সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাদালিং গ্রেট ওয়াল স্টেশন। স্টেশনটির নির্মাণকাজ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালে। ভূগর্ভস্থ এই স্টেশন ৩৩৫ ফুট মাটির নিচে ৩৬ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। মাটির নিচে এর তিনতলা কাঠামো রয়েছে। ভূগর্ভস্থ এই রেলস্টেশন নির্মাণের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা মহাপ্রাচীরের কাঠামোয় কোনো সমস্যা তৈরি না করে এত জটিল নির্মাণকাজ কিভাবে সম্ভব হলো।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলেছে, প্রকৌশলীরা দক্ষতা ও বিশেষ যত্নের সঙ্গে মহাপ্রাচীরের নিচে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল খনন করেছেন। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউনেসকো ঘোষিত ওই বিশ্বঐতিহ্যকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করা হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন।