নিজস্ব প্রতিবেদক,
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে করোনা মহামারির মধ্যে ভার্চুয়াল সম্মেলন করে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। দীর্ঘ ২০ বছর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ১৯ জুন।
ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে আয়োজিত ভার্চুয়াল সম্মেলনের পর কমিটি ঘোষণা না করায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা বলছেন, সম্মেলনের পর পর কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় কমিটি দুইমাসেও নগর কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। সম্মেলনে নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিল অনেক নেতা-কর্মী। নতুন করে দলকে গুছাতেও কাজ শুরু করেছিল তারা।
গত ১৯ জুন নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। তারাও এ রকম সম্মেলন আয়োজনের প্রশংসা করেন। দ্রুত কমিটি অনুমোদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তারা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও সম্মেলনের পর কমিটি ঘোষণা করার কথা বলেন।
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দুই সেশনে। প্রথম সেশনে চট্টগ্রাম ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। দ্বিতীয় সেশনে ৪২ জন নিজেদের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে এবং ৩৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ফরম পূরণ করে জমা দেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শোকের মাস আগস্টে কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের শুরুতে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হতে পারে। ৪ জনের চূড়ান্ত তালিকায় দুটি প্যানেলের মধ্যে যে কোনও দুই ভাগ্যবান নেতা চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। তাই এই মাসে কমিটি গঠন করা হবে না। চট্টগ্রামের কমিটির জন্য আমাদের কাছে বায়োডাটা রয়েছে। সেগুলো সর্বোচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এখনো কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলেই আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করবো।
বিএসডি/আইপি