বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট করছে। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট ৫০ হাজার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তুহারা ছিন্নমূল মানুষের জন্য সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তিনি বস্তিবাসীর জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
গতকাল সোমবার মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনে পুড়ে গেছে শত শত ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষকে দেখতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত তাঁদের (বস্তিবাসী) বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কী কারণে আগুন লাগল, কেন লাগল, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এরপর ছিন্নমূল বস্তিবাসীর জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা কী করা যায়, তার জন্য অবশ্যই সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কেউ গৃহপরিচারিকার কাজ করেন, কেউ রিকশা চালান, কেউ জুতো পোলিশ করেন। একেবারেই বাস্তুহারা ছিন্নমূল মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেল, দুর্ভাগ্য আমরা সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
বস্তিবাসীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আপনাদের এ এলাকার সাবেক মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল আছেন। যদিও সরকারের নির্বাচন কমিশন তাঁদের হারিয়ে দিয়েছে। তারপরও জনগণের নির্বাচিত মেয়র তাবিথ। আমি আশা করি, দু-এক দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সামান্য হলেও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা করবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, শফিকুল ইসলাম, মুনশি বজলুল বাসিত, আবদুল আলিম নকি, আনোয়ারুজ্জামান, জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা এস এম জাহঙ্গীর প্রমুখ।