হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গেই ঘরমুখী হয়ে পড়ে মানুষ। দোকানেও বিক্রি কমেছে। কালিতলা এলাকার চা বিক্রেতা আজাদ বলেন, সন্ধ্যার পরেই বেশি বিক্রি হয় তাঁর। এবার শীতের শুরুতে চায়ের পাশাপাশি দোকানে সেদ্ধ ডিম বিক্রি শুরু করেছেন। অন্যান্য সময় প্রতিদিন গড়ে চার শ থেকে সাড়ে চার শ কাপ চা বিক্রি করতেন। ঠান্ডায় লোকজন না থাকায় এখন ২০০ কাপ চা–ও বিক্রি হয় না।
প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গোপালগঞ্জ এলাকার মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘কয়েক দিন মানুষের আলুখেতত আলু তুলি বেড়াইনু। দুই দিন থাকি কাজত যাওয়া যাছে নাই। সকালত খুব ঠান্ডা পড়েছে। হাত–পার কোকড়া লাগি যাছে।’
বিক্রি বেড়েছে শীতের কাপড়ের দোকানে
শীত থেকে রক্ষায় মানুষ ভিড় করছে গরম কাপড়ের দোকানে। বিশেষ করে শহরের কাছারি এলাকায় হকার্স মার্কেটে বেড়েছে মানুষের ভিড়। এখানে পুরোনো জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বল, চাদরসহ বিভিন্ন গরম কাপড় বিক্রি হয়।
হকার্স মার্কেটে জ্যাকেট ৩৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে, সোয়েটার ১৩০ থেকে ৪০০ টাকা, কম্বল ১৮০ থেকে ৩ হাজার টাকা, মাফলার ৭০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মার্কেটের বাইরে ছোট ছোট দোকানে টুপি ও মোজার চাহিদা বেশি। প্রতিটি মাংকি টুপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ২০০ টাকা, হাতমোজা প্রতি জোড়া ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাছারি এলাকায় সোয়েটার, টাইলস ও চাদর বিক্রি করেন মৌসুমী আক্তার। তিনি জানালেন, গত তিন–চার দিন ঠান্ডাটা বেশি পড়ায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। কয়েক দিন আগপর্যন্ত মার্কেটে লোকই ছিল না।
তবে কাপড় কিনতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কাপড়ের দামও। বিরল উপজেলার বিজোড়া থেকে হকার্স মার্কেটে এসেছেন বিউটি আরা। ৮০০ টাকায় দুটি সোয়েটার কিনেছেন তিনি। তিনি জানালেন, গতবার এ রকমই সোয়েটার কিনেছেন আড়াই শ টাকা দিয়ে। এবার সেখানে ৪০০ টাকা দাম। শীতের কাপড় ভালো–মন্দ দেখার চেয়ে প্রথম দরকার গরম কেমন হবে।
বিএসডি/ এলএল