ক্রীড়া ডেস্ক,
৩ উইকেট পেলে সাকিব আল হাসান দারুণ দুটি মাইলফলক স্পর্শ করতেন। গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেই উপলক্ষ্য উদযাপন করেও ফেলেছিলেন। ব্যক্তিগত কোটার প্রথম ৩ ওভারে শিকার ২ উইকেট। চতুর্থ ও শেষ ওভারের প্রথম বলেই কোল ম্যাকনকিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ম্যাকনকি। পরের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন কিউই অলরাউন্ডার। মাহেদী হাসান ডিপ মিড উইকেট থেকে ছুটে এসে বলের নাগাল পাননি। সাকিবকে তাই চূড়ায় ওঠার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের শিকার ১০৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার চেয়ে একটি কম।
এই ১ উইকেট সাকিবকে অপেক্ষায় রেখেছে আরেকটি দারুণ কীর্তি গড়ার। সব সংস্করণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের রান ১২ হাজার ২৮৮। উইকেট সংখ্যা ৫৯৯। আর এক উইকেট পেলেই ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১২ হাজার রান ও ৬০০ উইকেটের কীর্তি গড়বেন টাইগার অলরাউন্ডার।
লাসিথ মালিঙ্গা জাতীয় দলের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে। ১৮ মাসের মাথায় মালিঙ্গার রেকর্ড দখলে নিতে এক উইকেট দূরে সাকিব।
মালিঙ্গা ১০৭ উইকেট নিয়েছেন ৮৪ ম্যাচে। টেস্ট এবং ওয়ানডে থেকে আগেই অবসর নেয় এই লঙ্কান পেসার টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানান ২০২০ সালে। সাকিব ১০৬ উইকেট শিকার করেছেন ৮৬ ম্যাচে। ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছেন টিম সাউদি। এই কিউই পেসারের শিকার ৯৯ উইকেট। খেলেছেন ৮৩ ম্যাচ। ২০১৮ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ৯৯ ম্যাচে শিকার করেন ৯৮ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারের তালিকার শীর্ষে উঠতে দ্রুত এগোচ্ছেন রশিদ খান। আফগান লেগস্পিনার মাত্র ৫১ ম্যাচ খেলেই নিয়েছেন ৯৫ উইকেট।
বিএসডি/এএ