বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন টেকনাফের ৬ জেলে। এ ঘটনায় তারা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন- সেটি জানে না ভুক্তভোগী জেলেদের পরিবার।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পুরানপাড়ার নাছির আহমদের ছেলে হাবিব উল্লাহ (৫০), অলি আহমদের ছেলে সৈয়দ আলম (৩৮), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সোহেল (৩০), আব্দুস সালামের ছেলে সলিমুল্লাহ (৪২), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদুর রহমান (২৮) ও মীর আহমদের ছেলে আলী হোসেন (৩৫)।
ভুক্তভোগী আলী হোসেনের স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীসহ আরও ৫ জেলে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হেলাল উদ্দিনের ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলারে মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যায়। তারা যাওয়ার পরে কারও সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’
চারদিন পর স্থানীয় কয়েকজন জেলে বলেন, ‘আমার স্বামীসহ বাকি পাঁচজন জেলে যে ট্রলারে ছিল সেটি বঙ্গোপসাগরের মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তবে ওই জেলেরা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করেছিল। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করতে না পেরে ফিরে আসেন তারা।’
এ ঘটনার ১৩ দিন হলেও তারা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন- এ বিষয়ে কিছু এখনও জানা যায়নি বলেও তিনি জানান।
ভুক্তভোগী সলিমুল্লাহর বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমার ছেলে সলিমুল্লাহ মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বেঁচে আছে কিনা মারা গেছে, কোন অবস্থায় আছে- তার কোনো সঠিক তথ্য না পেয়ে তার চেয়েও বেশি কষ্ট পাচ্ছি। সব জায়গায় খোঁজ নিয়েও এ পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।’
টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বাহারছড়া পুরান পাড়ার ৬ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনা তাদের পরিবারের কাছ থেকে জানার পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েছি। এখনও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে বিশাল সাগরে তারা কোথায় আছে- তা জানা সম্ভব হয়নি।
বিএসডি/ এফ এ