সাভার প্রতিনিধি:
সাভারে আশুলিয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে ফেরদৌস (১১) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার সহকর্মীরা। ঘটনার পর থেকে পারভেজ নামে এক সহকর্মী পলাতক রয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকার গণ স্বাস্থ কেন্দ্র থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের সহকর্মী শাহপরান হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ফেরদৌস শেরপুর জেলার সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। সে পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া থেকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজ করতো। আটককৃত আসামী শাহপরান হৃদয় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার চরপাড়া গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ সাহেবের ছেলে। সে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাসের কন্ডাক্টর এবং পলাতক আসামী পারভেজ হেলপার বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ বর্তমান সময়কে জানান, রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে বাস নিয়ে বাইপাইল এলাকায় পৌঁছায় তারা। পরে গাড়ির মধ্যে কন্ডাক্টর হৃদয় ও হেলপার পারভেজ ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় শিশু ফেরদৌস গাড়িতেই ছিলো। ঘুম ভাঙলে তার পকেট থেকে ৫০০ টাকা খোয়া গেছে বলে জানতে পারেন হৃদয়। এসময় শিশু ফেরদৌস তার পকেট থেকে পারভেজ টাকা চুরি করেছে বলে জানায়। একপর্যায়ে পারভেজ ও হৃদয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এসময় পারভেজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হৃদয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে পারভেজ শিশু ফেরদৌসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা দুজন মিলেই নিহত ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে দুর্ঘটনার খবর দেয়। সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও মরদেহে দুর্ঘটনার কোন চিহ্ন না পাওয়ায় বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে ভোর রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় হৃদয়কে আটক করা গেলেও পারভেজ গাঁ ঢাকা দেয়।
এসময় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই সামিউল বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে ফেদৌসকে মারধর করে তার সহকর্মীরা। তখন ফেরদৌস মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। ঘটনার পর তার সহকর্মী হৃদয়কে আটক করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
বিএসডি/এসএফ