কক্সবাজার প্রতিনিধি:
৩১০ পর্যটক নিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাত্রা করল পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট দিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজটি ছেড়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছার কথা রয়েছে।
সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর এই মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটকবাহী এই জাহাজটি চলাচলের অনুমোদন দেয় প্রশাসন। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দ্বীপের জেটি লন্ডভন্ড হওয়ায় কিছুটা সময় লাগে অনুমতি পেতে জাহাজ কর্তৃপক্ষের।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, পর্যটক মৌসুমের শুরুতে মঙ্গলবার সকালে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন নামে একটি জাহাজ ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। তাছাড়া পর্যটকদের উঠা-নামার সমস্যা না হয় সেজন্য দ্বীপে সংস্কার জেটিতে সেভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এ রুটে আরও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে।
সরেজিমনে দেখা যায়, টেকনাফ দমদমিয়া কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পর্যটকবাহী জাহাজ জেটি ঘাটে টিকেটের জন্য ভিড় করেন ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এসব পর্যটকদের মধ্য অনেকে আসা পথে সড়কে বেহাল অবস্থা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া শতাধিক পর্যটক টিকেট না পাওয়ায় দ্বীপে ভ্রমণে যেতে পারেননি।
আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রিতম জানান, করোনার কারনে তিন বছর পর প্রথমবারের মতো প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি। খুব আনন্দ লাগছে। দুই গ্রুপে আমাদের দলে ৬৫ জন সদস্য রয়েছে। দ্বীপে আমরা চার দিনের ভ্রমণে নীল দিগন্তে ওঠবো।
পর্যটকবাহী কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাওয়ায় প্রথম দিনে ৩১০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাত্রা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে দুপুর ১২টার দিকে দ্বীপে পৌঁছে যাবে জাহাজটি। আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে আরও বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে আসবেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ মার্চ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছিল।
বিএসডি/এসএসএ