বিনোদন ডেস্ক
তারিক আনাম খান। নন্দিত অভিনেতা নাট্যকার ও নির্দেশক। সম্প্রতি তিনি শুরু করেছেন ‘গুলশান অ্যাভিনিউ সিজন টু’ নামে প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটকের কাজ। এ ছাড়া তিনি ব্যস্ত আছেন ওয়েব সিরিজ ও এক ঘণ্টার নাটকের কাজ নিয়ে। নতুন ধারাবাহিক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
শুনলাম, প্রতিদিনের ধারাবাহিক ‘গুলশান অ্যাভিনিউ সিজন টু’তে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আমার স্ত্রী নিমা রহমানের পরিচালনায় এই ধারাবাহিকে আমি অভিনয় করছি একজন মন্দ মানুষের চরিত্রে, যার কারণে পরিবারে নানা ধরনের গল্প তৈরি হয়। আমাদের দেশের ধনী পরিবারের নানা গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। বলা যেতে পারে, উপমহাদেশে যে ধরনের প্রতিদিনের ধারাবাহিক দেখতে আমরা অভ্যস্ত, এটি সেই ঘরানার। গ্ল্যামার, সাজগোজ- এসব বিষয়ের প্রাধান্য থাকছে। রয়েছে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন।
সম্প্রতি প্রচার হওয়া ‘আপন’ টেলিছবিটিতে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
পারিবারিক সম্পর্ক তথাকথিত সামাজিক ধ্যান-ধারণার এক অনবদ্য সমন্বয়ে নির্মিত টেলিছবি ‘আপন’। এই গভীর বিষয়গুলোর আবহতে মজার মজার সংলাপ এবং কর্মকাণ্ড কাহিনিকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলেছে। যে জন্য দর্শক এটি পছন্দ করেছেন। গত কোরবানির ঈদে সেরা টেলিছবির একটি ছিল ‘আপন’। বাংলাভিশনে প্রচারিত এ টেলিছবি ইউটিউবেও দেখছেন দর্শক।
ওয়েব ফিল্ম, নাটকের পাশাপাশি সিনেমায়ও কাজ করছেন। এ মাধ্যমের সার্বিক অবস্থা কেমন মনে হয়?
চলচ্চিত্রের দুঃসময় অনেকটা কাটতে শুরু করেছে। এটি সত্যি, করোনা আমাদের সব এলোমেলো করে দিয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। এখন আমাদের দেশে যেসব সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলো কতটা মানসম্পন্ন- তা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। মোটাদাগে এটাই বলতে পারি, ভালো সিনেমার সংখ্যা বাড়েনি। সিনেমা যদি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক না হয়, সিনেমায় যদি মানুষের গল্প না বলতে পারি, তাহলে চলচ্চিত্র কোনো দিনও দাঁড়াবে না। সব সময় নতুন যুগের সঙ্গে চলতে হবে। অ্যাকশন, থ্রিলার, কমেডি, রোমান্টিকসহ অনেক ধরনের ছবি হতে হবে। দর্শক একঘেয়ে এক নায়কের ছবি কেন দেখবেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভালো কনটেন্ট জরুরি। গল্প, নির্মাণ ঠিকঠাক না হলে আমরা টিকতে পারব না। খ্যাতিমান নির্মাতাদের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতারাও কাজ করছেন। যারা এ সময়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসিত হচ্ছেন, তাদের উচিত বিরতি না দিয়ে নিয়মিত কাজ করা। তাহলে আমাদের সিনেমায় আরও প্রাণসঞ্চার হবে।
অনেক দিন ধরে আপনি মঞ্চে অনুপস্থিত
টিভি নাটক, অনলাইন মাধ্যম ও ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মঞ্চের জন্য আলাদা সময় বের করতে পারছি না। ব্যস্ততা কমলে নাট্যকেন্দ্রের নতুন প্রযোজনায় অভিনয় করব। ইচ্ছা আছে, নতুন একটি নাটকের নির্দেশনাও দেওয়ার। এখন বাকিটা নির্ভর করছে সময়ের ওপর।
এখনকার নাটক বা টেলিছবিতে অভিনয় কতটা আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন?
সত্যি বলতে, এখন ভালো গল্পের অভাব। সবকিছুতেই তাড়াহুড়া করা হয়। যেহেতু অভিনয় আমার পেশা, ফলে অনেক কাজ করতে হয়। তবে আত্মতৃপ্তি না পেলে কিন্তু অভিনয় করতাম না। এখনও আগের মতো ভালোবেসে অভিনয় করি।
এখন পারিবারিক গল্পের নাটক, টেলিছবি কম নির্মিত হচ্ছে কেন?
বাজেট-স্বল্পতার কারণে পারিবারিক গল্পের কাজ কম হচ্ছে। তবে এখন অনেক নির্মাতা ইউটিউবের সাপোর্ট নিয়ে পারিবারিক গল্পের কাজ করছেন। গেল ঈদে পারিবারিক গল্পের নাটকই দর্শক বেশি দেখছেন
বিএসডি/আরএ