নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদায়ী বছরের ৩০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সিরাজগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হামলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা করেছে বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ছয়টি মামলা হলেও প্রকৃত অস্ত্রধারীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। হামলার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও আটক বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে শহরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে হামলা হয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ওই জনসভাকে ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দুই-তিন দিন আগে থেকে রশিদী মিল্লাত মুন্নার (এমপির) বাড়ির ছাদে ও বাড়ির নিচে, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের মাঠে ও অডিটোরিয়ামের ছাদে, রেলগেটে, গো-শালায়, আলিয়া মাদরাসার ছাদে ও তৎসংলগ্ন মাঠে, বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, পাথর, ককটেল, পেট্রোল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র মজুত করে।’
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে একডালা মধ্যপাড়ার বায়েজিদ, দত্তবাড়ির সুজয়, কোল গয়লার সুমন ও জনি চারটি পিস্তলসহ প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালায়। পিস্তলধারীদের হামলার দৃশ্য প্রায় সব টিভি মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ছবি প্রকাশিত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘পরাজয়ের আক্রোশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের রিকশা, ইজিবাইক, দোকানপাট ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা জনতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তীব্র সংঘর্ষ চলে দুই ঘণ্টাব্যাপী। পরে র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
বেলকুচি থেকে জনসভায় আসার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চারটি বাস ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ২০ জন আহত বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে চারটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং বিকেলেই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ তল্লাশিসহ পরিবার পরিজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
বিএসডি/এসএ