নিজস্ব প্রতিবেদক,
কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে আরও ৬ সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানিবৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য জেলা শহর ও ৫টি উপজেলায় মজুত রাখা হয়েছে ১৭৬ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে সাত লাখ টাকা। তবে এখনো কোথাও কোনো ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল পৌনে ১১টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের পানি পরিমাপক (গেজ মিটার) আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদীতীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন হলোই যমুনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনো ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে জানান, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা আছে। আমরা নিয়মিত পানির খোঁজখবর রাখছি।
তিনি আরও বলেন, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর এই ৫টি উপজেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ করে নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো সময় বিতরণ করবেন।
এ ছাড়া জেলায় ৭৬ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। কোনো এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বিএসিডি/আইপি