নিজস্ব প্রতিবেদক:
রেজাউলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, প্রতিবেশী আজাদের বাড়িতে গ্যাসের চুলার পাইপে ছিদ্র ছিল। পরে তাঁদের সিলিন্ডার থেকে চুলায় গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় সেখানে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসা হয়। তবে এতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বিষয়টি দেখভালের জন্য রেজাউল ওই বাড়িতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের পাইপ সংযোগ দেন। এরপর চুলায় গ্যাস সরবরাহ ঠিকঠাক হয়েছে কি না যাচাই করার জন্য চুলায় আগুন দেন। এ সময় মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা চারজনই দগ্ধ হন।
পরে স্থানীয় লোকজন দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রেজাউলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর। রাতেই রেজাউল ও সৌরভকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে রেজাউলের অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর। পাংশায় অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেই। তাই তাঁদের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি/ফয়সাল