আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ চীন সাগরে মালয়েশিয়ার সমুদ্রসীমায় চীনের জলযানগুলো অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ করেছে মালয়েশিয়া। এ ঘটনার জেরে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে হুঁশিয়ারও করা হয়েছে।
সোমবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকবার মালয়েশিয়ার সাবাহ ও সারাওয়াক প্রদেশের দক্ষিণ চীন সাগর উপকূলে চীনের বেশকিছু জাহাজকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব জাহাজের মধ্যে একটি সামুদ্রিক জলসীমা জরিপ নৌযানও ছিল।
বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, উপকূলের যেসব এলাকায় চীনের নৌযানসমূহ দেখা গেছে, সেসব অঞ্চল মালয়েশিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) অন্তর্ভূক্ত।
এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চীন ১৯৮২ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সমুদ্রসীমা আইন বিষয়ক সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলো চীন বারবার লঙ্ঘণ করছে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছে এই ঘটনার জের ধরেই।
সোমবারের বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা আইনের ভিত্তিতেই সমুদ্রনীতি নির্ধারণ করেছে মালয়েশিয়া। পাশাপাশি আর একটি বিষয় এখানে অবশ্যই উল্লেখ্য যে, আমাদের সার্বভৌমত্ব ও নিজেদের জলসীমায় সার্বভৌম অধিকারে আমরা কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নই।’
‘এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মালয়েশিয়ার জলসীমায় বিদেশি নৌযান অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে এবং তখনও সেসবের প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।’
গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী দেশ মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, জাপান অভিযোগ করে আসছে- চীন তাদের জলসীমায় অবৈধভাবে নিজেদের নৌযান ঢোকাচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগ খারিজ করে চীন বলেছে, যেসব অঞ্চলকে এসব দেশে নিজেদের সমুদ্রসীমা হিসেবে দাবি করছে, সেগুলো আসলে চীনের সীমানাভূক্ত সামুদ্রিক অঞ্চল।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। এসব তৎপরতার মধ্যে রয়েছে, সাগরে নিজেদের জলসীমায় সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো, কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা, মাছ ধরা নৌযানসমূহের সংখ্যা বাড়ানো এবং সেগুলোকে প্রায়শ অন্যদেশের সমুদ্রসীমায় ঢুকতে দেওয়া।
নিজেদের মাছ ধরা নৌযানগুলোর নিরাপত্তার জন্য সাগরে নিয়মিত হারে সামরিক টহলও বাড়াচ্ছে চীন।