ক্রীড়া ডেস্ক,
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি সোনার ব্যবসায় নেমেছেন তিনি। তবে এর আগে সোনা আমদানির জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন। নিজের নতুন ব্যবসার খবর জানাতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
সোমবার (২৩ আগস্ট) প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে সাকিব আল হাসান বলেছেন, প্রিয় দেশবাসী, সরকারি অনুমোদনক্রমে আমি সাকিব আল হাসান দেশে বৈধভাবে স্বর্ণবার এবং স্বর্ণালংকার আমদানি এবং বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার হিসেবে ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেছি। আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা আপনার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে দেশে বৈধভাবে, সঠিকভাবে ওজনের খাঁটি স্বর্ণ আমদানি করতে পারেন অথবা আমদানিকৃত স্বর্ণ ক্রয় করতে পারেন।
৩৪ বছর বয়সী এই তারকা আরও বলেছেন, স্বর্ণ আমদানি হালাল। স্বর্ণে বিনিয়োগও হালাল। দেশের ব্যাংকিং বিনিয়োগে সুদের হার ক্রমশ নিম্নগামী। তাই হালাল ও নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করে নিশ্চিন্তে থাকুন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেয়েছে ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোং’। ঢাকা, রংপুর ও কুমিল্লা- এই তিন জেলায় অফিস নিয়ে এরইমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশ থেকে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণের অলংকার আমদানিও শুরু করেছেন তারা।
এর আগে সাকিব নানামুখী বিনিয়োগ ও ব্যবসার মাধ্যমে করপোরেট জগতে প্রবেশ করেছেন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ী হিসেবে হাতেখড়ি সাকিব আল হাসানের। এরপর দ্রুতই নিজের ব্যবসায়িক পরিমণ্ডল বিস্তৃত করেছেন তিনি। দেশের শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে তার। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন সাকিব আল হাসান।
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা পরিবারের কাছে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামীকাল (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশে পা রাখার কথা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের। সে হিসেবে কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে এসে অনুশীলনে নেমে পড়তে হবে তাকে।
বিএসডি/এএ