নিজস্ব প্রতিবেদক,
গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) টঙ্গীর পাগাড় আলেরটেক এলাকায় গৃহবধূ রাজিয়া খাতুনের (২২) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার স্বামী জুয়েল মিয়া। এর নয় দিন পর গত শুক্রবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়। সোমবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে জুয়েল মিয়াসহ তিনজনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রাজিয়ার বাবা।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাসুদ।
রাজিয়া খাতুন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ভুগলি গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে। মামলার আসামিরা হলেন—রাজিয়ার স্বামী জুয়েল মিয়া, শ্বশুর তোতা মিয়া (৬৯) ও ননদ রোজিনা আক্তার (২৫)। তারা প্রত্যেকেই তারাকান্দার খন্ডল গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি জানান, তিন বছর আগে জুয়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজিয়ার। কিছু দিন পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতেন জুয়েল। ১ জুলাই রাতে রাজিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাজিয়াকে মারধর করেন জুয়েল। পরে মধ্যরাতে স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। রাজিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। পরে রাজিয়ার ননদ রোজিনা আক্তার ফোন করে আজিজুল হককে জানান, তার মেয়ে আগুনে পুড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিএসডি/এমএম