নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেছেন সাজু আক্তার নামে এক গৃহবধূ। বুধবার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানাকে তা তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ার উত্তর পদুয়া পশ্চিম খুরুশিয়া এলাকার সাজু আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শফিউল আলম। পরে সন্তানসম্ভবা হলে বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে সাজুর গর্ভপাত করায় শফিউলের বাড়ির লোকজন। শুধু একবার নয়, বিভিন্ন সময় সন্তানসম্ভবা হলেই জ্বর-সর্দির ওষুধ, কিংবা ভিটামিনের নামে ভ্রূণ হত্যার ওষুধ খাইয়ে সাজুর গর্ভের সন্তান নষ্ট করত তারা।
সম্প্রতি আবারো সন্তানসম্ভবা হলে তাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চাপ দেয় প্রবাসী স্বামী। তবে গর্ভপাত করাতে অস্বীকার করলে সাজু আক্তারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তালাকের হুমকি দেয় শফিউল। করা হয় শারীরিক-মানসিক নির্যাতনও। সবশেষে ঘর থেকে বেরিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন সাজু আক্তারের স্বামী শফিউল আলম।
ভুক্তভোগী সাজু আক্তার জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ২০২০ সালের জুলাই মাসে তার বোনের বাসা বহদ্দারহাটে চলে যান। গত আগস্টে তার স্বামী বিদেশ থেকে এসে সেখানে ওঠে। ওই সময় সাজুকে আগের সবকিছু ভুলে নতুন করে সংসার করতে বললে তিনি রাজি হন। এরপর আবারো সন্তানসম্ভবা হন সাজু। এবারও আগের মতোই শফিউল তাকে গর্ভপাতের কথা বলে। সাজু এতে রাজি না হওয়ায় তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এক পর্যায়ে তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয় স্বামী সফিউল।
অবশেষে বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন সাজু আক্তার।
বিএসডি/আইপি