নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করেই দ্বিতীয়বার নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসেন আফসানা ইফতি নামের এক তরুণী৷ এ ঘটনা দ্বিতীয় স্বামীর সাথেও হয় বিবাহ বিচ্ছেদ৷ কাবিনের নির্ধারিত অর্থ পরিশোধের পরেও দ্বিতীয় স্বামী মো: তাইজুল ইসলামের নামে ভূয়া মামলা করেন ওই নারী৷ এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই স্বামী৷
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর এই অভিযোগ করা হয়েছে৷
অভিযোগে বলা হয়েছে, আমি মো. তাইজুল ইসলাম একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছি। সম্প্রতি আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। তবে আমার স্ত্রী (তালাকপ্রাপ্ত) প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই নিজেকে কুমারী দাবি করে আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অভিযুক্ত ওই মেয়ের নাম আফসানা ইফতি। এই নারী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরাম পুর ইউনিয়নের ক্রোকির চর গ্রামের আসলাম হোসেন ও রোকসানা দম্পতির মেয়ে। তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের ইতালি প্রবাসী তালুকদার মেহেদী নামে এক যুবকের সাথে। সেই বিয়ে গোপন রেখে আমার সাথে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসে। সেই বিয়েতে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ও তা উসুল দিয়ে বিয়ে হয়। কিন্তু পরে এই প্রতারণক চক্র আমাকে বিপদে ফেলতে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর দেখিয়ে একটি ভুয়া কাবিন তৈরী করে। এর আগে তালুকদার মেহেদী হাসানের সাথে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারী পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তিন লক্ষ টাকা ওয়াসিল ও দুই লক্ষ টাকা বাকী রেখে তার প্রথম বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের কয়েকদিন পরে আমার নিকট তার প্রথম স্বামী স্বামী তালুকদার মেহেদী জানতে চান সে তার স্ত্রী সরদার আফসানা ইফতি কে কিভাবে বিয়ে করলেন কারণ সরদার আফসানা ইফতি তো তার স্ত্রী। তখন আমি তাদের বিয়ের প্রমাণ চাইলে তালুকদার মেহেদী ও সরদার আফসানা ইফতির বিয়ের কাবিন ও বিবাহের বিভিন্ন ছবি পাঠান। এরপর আমি বুঝতে পারি আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। পরে চলতি বছরের ১৯ জুন আদালতের মাধ্যমে আফসানা ইফতিকে তালাক দেই আমি। দুটি বিয়ের মূল ভূমিকায় ছিলেন কালকিনি উপজেলা পরিষদের নাজির সাবিনা ইয়াসমিন। এর পর ইফতির পরিবার চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল দশ লক্ষ টাকা দেনমোহর দেখিয়ে একটি ভূয়া কাবিন তৈরি করে। যেখানে আমার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। ওই কাবিন দিয়ে আদালতে একটি – নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়েরও করে তারা। ইফতির বাবা আদালতে চাকুরী করে বলে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমাকে মানসিক এবং সামাজিকভাবে হেয়সহ হয়রানি করছে।
অভিযোগে তিনি এই প্রতারক চক্রকে তদন্তের আওতায় এনে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান৷
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তাইজুল ইসলাম বলেন, আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং বিচার চাই৷ পেশাদার এই প্রতারকের কারনে আমার জীবনে বড় বিপর্যয় এসেছে৷ এমন ঘটনা আর কারও সাথে না ঘটুক৷