নিজস্ব প্রতিবেদক,
সুপারশপ স্বপ্ন’র ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাক করে একটি চক্র ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের বের হয়ে এসেছে এসব তথ্য।
রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান ডিআইজি আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রথমসারির এয়ারলাইন্স, সুপারশপ স্বপ্ন, ফ্রিল্যান্সারডটকমসহ দেশি-বিদেশি একাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশি একটি হ্যাকার চক্র।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, শনিবার রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বপ্ন থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- চক্রের মূলহোতা মো. নাসিমুল ইসলাম, রেহানুর হাসান রাশেদ ও রাইসুল ইসলাম। মো. নাসিমুল ইসলাম বগুড়া পলিটেকনিক থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে হ্যাকার গ্রুপের সদস্য হন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল সেট, ২টি ল্যাপটপ ও ১টি সিপিইউ, ক্রিপ্টোকারেন্সি, নগদ টাকা, ইলেকট্রনিক কার্ড ও ‘স্বপ্ন’ ই-ভাউচারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আসাদুজ্জামান বলেন, সুপারশপ স্বপ্ন তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারাদেশের ১৮৬টি আউটলেটের সেলস মনিটরিং, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, কর্মী ব্যবস্থাপনা, আর্থিক লেনদেনের হিসাব, ডিজিটাল ভাউচার ম্যানেজমেন্টসহ সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। স্বপ্নের ডিজিটাল সিস্টেমটি তাই অ্যাডভান্স সাইবার সিকিউরিটি প্রটোকল অনুযায়ী অত্যন্ত সুরক্ষিত করে তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, গত ২৬ জুন থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে স্বপ্নের শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ব্রিচ করে বিপুল অংকের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক ডিজিটাল ভাউচার জেনারেট করে বিক্রি করা হয়। বিষয়টি স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের কাছে অভিযোগ জানায়। এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি চৌকস টিম।
তারা স্বপ্ন সুপারশপের ডিজিটাল সিস্টেমের ফরেনসিক বিশ্লেষণ ও রিভার্স অ্যানালাইসিসসহ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে হ্যাকার চক্রটির ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট শনাক্ত করে।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেফতাররা স্বপ্নের ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাক করে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ডিজিটাল ভাউচার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ ছাড়ে কয়েকটি ই-কমার্স ব্যবহারকারীদের কাছে বিক্রি করে। এভাবে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টে জমা করে।
বিএসডি/আইপি