নিজস্ব প্রতিবেদক,
কুয়েত প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছুটিতে এসেছেন দেশে।
হাসপাতাল থেকে ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, ১৩ আগস্ট দেওয়া হবে টিকা। কিন্তু ১২ আগস্ট মডার্নার টিকাদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে ঘুরে মিলছে না সমাধান।
মামুন বলেন, টিকার ব্যাপারে তথ্য জানতে এসে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। কাটিরহাট থেকে ভোরে বের হয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় জেনারেল হাসপাতালে এসেছি। দীর্ঘ লাইন মাড়িয়ে হাসপাতালে ঢুকেছি। এই রুম ওই রুম করে এখন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনিও কোনো সমাধান দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, আস্ট্রাজেনেকার মতো যদি মডার্নার টিকাদানও বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দেশের বাইরে যেতে পারবো না।
শুধু আব্দুল্লাহ আল মামুন নন, এমন অনেকে এসেছে মডার্নার টিকা নিতে। অনেকে মডার্নার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে ধরনা দিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দায়। টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
মাহমুদুর রহমান নামে আরেক বিদেশগামী যাত্রী বলেন, গত ১৪ জুলাই মডার্নার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছি। কিন্তু এখন সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১২ আগস্ট থেকে মডার্নার টিকাদান বন্ধ করে দিবে। দ্বিতীয় ডোজ না পেলে দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের (আরএমও) কাছে এসেছি, তিনি বলছেন সময় হলে এসএমএস পাঠানো হবে। দ্বিতীয় ডোজের ওপর নির্ভর করে বিমানের টিকিট কনফার্ম করবো। যদি টিকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে কি হবে বুঝতে পারছি না।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে টিকা প্রত্যাশী অনেকে এসেছেন। তাদের কোনোভাবেই বুঝানো যাচ্ছে না। যাকে যেভাবে পারছি, বুঝিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া বিদেশগামী যাত্রীদের ব্যাপারে সরকারি তেমন কোনো নির্দেশনা নেই যে, তাদের বলবো।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, মডার্নার টিকা আমাদের কাছে যা মজুদ আছে তা দিচ্ছি। নতুন ডোজ না আসলে আমরা নতুন করে টিকা দিতে পারবো না। তবে শনিবারের মধ্যে আরও একটি টিকার চালান আসার কথা রয়েছে। সেটা পেলেই আমরা টিকা দেওয়া শুরু করতে পারবো।
বিএসডি/আইপি