নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে হঠাৎ করে একটি যাত্রীবাহী বাস রেললাইনে আটকে যায়। খবর পেয়ে ওই রেললাইন ধরে আসা উপবন এক্সপ্রেসের চালককে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। আগে থেকেই সতর্ক হওয়ায় চালক ট্রেনের গতি কমিয়ে দিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রেকার এসে বাসটি সরিয়ে দিলে প্রায় আধাঘণ্টা পর দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কবির হোসেন বলেন, চন্দ্রা পরিবহনের একটি বাসটি এখানে ঘোরাচ্ছিল। তখনই আমরা নিষেধ করেছি যে, নতুন বালু ফেলেছে তাই ঘোরানোর সময় সমস্যা হতে পারে। তবে বাস ড্রাইভার কর্ণপাত না করে বাসটি এখানে ঘোরানোর চেষ্টা করে। পরে বাসটির সামনের ও পেছনে চাকা বালুতে আটকে যায়। ট্রেনটি না থামলে ভৈরবের মতো বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেত।
এ ব্যাপারে খিলগাঁও এলাকায় দায়িত্বরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট জাহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে এখানে এসেছি। এটা সরানোর জন্য কল করা হয়েছে। এর বাইরে আমি বিস্তারিত কিছু জানি না।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস ঢাকা বলেন, আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়েছি। ট্র্যাফিক বিভাগ থেকে রেকার যাচ্ছে বাসটি সরানোর জন্য। রেললাইন ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে, ওই বাস ড্রাইভার বলেন, যাত্রী নামানোর পর ফাঁকা জায়গা পেয়ে আমি এখানে বাস ঘোরানার চেষ্টা করি। পরে বাসটি বালুর মধ্যে আটকে যায়। আমি জানতাম না এখানে এই সমস্যা হবে।
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক বলেন, আসার সময় আমাদের সংকেত দেওয়া হয় যে, এখানে একটু সমস্যা আছে। পাশাপাশি একটি ট্রেন যাওয়ার সময়ও আমাদের জানিয়েছিল যে সামনে সমস্যা আছে, আমরা যেন ট্রেন ধীর গতিতে চালাই। এরপর আমরা ট্রেন ধীর গতিতে চালিয়ে এসে দেখি একটি বাস রেললাইনের ওপর আটকে আছে। আমরা ট্রেনটি থামিয়ে দেই। প্রায় ২০ মিনিট আমরা এখানে ট্রেন থামিয়ে রেখেছি। ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে এসেছে।
বিএসডি/এমএম