জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হলে (বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) প্রায় শতাধিক সনাতনী ছাত্রীরা থাকে। তবে, এসব ছাত্রীদের প্রার্থনার জন্যে নেই একটি উপাসনালয়েও ব্যবস্থা। এতে ছাত্রীরা প্রত্যাহিক এবং সাপ্তাহিক উপাসনা ও বিভিন্ন পূজা পার্বণ পালনে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। আসন্ন দুর্গাপূজার মধ্যেই উপাসনালয় স্থাপনের প্রত্যাশা করছে ছাত্রীরা।
হলে কোনো উপাসনালয় বা উপাসনা কক্ষের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের উপাসনার জন্যে যেতে হয় হলের বাইরে আশে-পাশের মন্দির গুলোতে। সাপ্তাহিক উপাসনায় এবং বিভিন্ন পূজা পার্বণ গুলোতেও একই চিত্র।
জানা যায়, এর আগে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে উপাসনালয় স্থাপনের জন্যে হলের প্রভোস্ট বরাবর মৌখিক আবেদন জানানো হয়। ছাত্রীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে উপাসনালয় স্থাপন করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কবে নাগাদ স্থাপন করা হবে , সেই সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু না বলায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাই তারা চাচ্ছে আসন্ন দুর্গা পূজার আগেই হলে সনাতনী ছাত্রীদের জন্যে উপাসনালয় স্থাপন করা হোক। তাদের দাবি পূজায় এটিই হবে তাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, রুমের মধ্যে উপাসনা বা প্রার্থনা করার পরিবেশ নেই। তাই বিভিন্ন পূজা পার্বনে প্রার্থনার জন্য যেতে হয় বাইরে মন্দিরগুলোতে। তাই যদি একটা কক্ষ আমাদের প্রার্থনার জন্য অনতিবিলম্বে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের অসময়ে প্রার্থনার জন্য হলের বাইরে যেতে হবেনা। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই যেন প্রার্থনা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয় সেই প্রত্যাশা করছি।
এ বিষয়ে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রী বাড়ৈ বলেন,”সব মানুষের ই নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। আমাদের প্রায় সময় নানান পূজা থাকে। সবাই একসাথে প্রার্থনা করলে নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়। আর উপাসনা সবার নৈতিকতা, মূল্যবোধ জাগ্রত করে। তাই হলে উপাসনালয় স্থাপন হবে, সেই প্রত্যাশা করছি।”
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, “উপাসনালয় এর কথা ছাত্রীরা একবার আমাকে জানিয়েছিল। কিন্তু ছাত্রী হলে এক্সট্রা তেমন কোনো রুম নেই। একটা ছোট রুম আছে, সেটি আবার স্টোর রুমে মত ব্যবহার করা হয়। বিধায় সেখানে অনেক প্রয়োজনীয় , অপ্রয়োজনীয় জিনিসে ভরে আছে। আমিও চাচ্ছি সনাতনী ছাত্রীদের জন্য সেখানে উপাসনালয় হোক। কিন্তু সেই জিনিসগুলো অন্য কোথাও স্থানান্তরের ব্যবস্থা এখনও হয়ে উঠেনি বিধায় উপাসনালয় বানানো সম্ভব হয়নি। তবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেন দ্রুত ছাত্রীদের জন্যে একটা উপাসনালয়ের ব্যবস্থা করা যায়।”
বিএসডি/ এমআর