পর্যটন ডেস্ক:
স্বর্গের সিঁড়ির কথা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গেছেন! বলছি, খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় এক স্থান হাতিমাথা স্বর্গের সিঁড়ির কথা। খাগড়াছড়ি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এটি।
স্বর্গের সিঁড়ি দিয়ে উঠে সেখানে আপনি দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ঠিক যেন এক কল্পনারাজ্য।
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের মায়ুং কপাল পাড়ায় স্বর্গের সিঁড়ির অবস্থান। অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অবস্থিত স্থানটি। একবার সেখানে গেলে জীবনেও এর সৌন্দর্য ভুলতে পারবেন না। এটি ত্রিপুরা অধ্যুষিত এলাকা।
সেখানকার বিশাল এক পাহাড়ের সামনের দিকটা হাতির মাথার মতো দেখতে। এ কারণেই স্থানীয়রা পাহাড়টিকে হাতিমাথা বলেই ডাকেন। চাকমাদের কাছে এটি ‘এদো শিরে মোন’ ও ত্রিপুরাদের কাছে ‘মাইয়োং কপা’ নামে পরিচিত। দুটোর অর্থই হাতির মাথা পাহাড়।
পাহাড় ও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে এই সিঁড়ি। এটি বেঁয়ে উঠতেই চারপাশের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। এক নিমিষেই সেখানকার শুরু থেকে শেষটা দেখতে পারবেন।
স্বর্গের সিঁড়ি দিয়ে পাহাড়ের উপরে উঠলেই খাগড়াছড়ির সুউচ্চ সব পাহাড় সারির সৌন্দর্য আপনাকে মমুগ্ধ করবে। পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে পাখির চোখে দেখা যায় খাগড়াছড়ি শহর।
পাহাড়ের চূড়ায় শীতল হাওয়া ও পাখির কলতান মন ভরিয়ে তুলবে। এছাড়াও সেখানকার শান্ত পরিবেশ আপনার মনের সব ক্লান্তি দূর করবে। এ কারণেই দিন দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে হাতিমাথা পাহাড় চূড়া।
এই পাহাড়ে চলাচলের জন্য বানানো স্বর্গের সিঁড়িও পর্যটকদের নজর কাড়ে। স্বর্গের সিঁড়ি স্থাপন করা হয় ২০১৫ সালে। শুধু স্থানীয়দের চলাচলের জন্যই ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সিঁড়িটি স্থাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
নান্দনিক এই সিঁড়ি যেমন স্থানীয়দের প্রয়োজন মেটাচ্ছে, ঠিক তেমনই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আনুমানিক ১১০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ৩০০ সিঁড়ি আছে সেখানে। এই সিঁড়িগুলো পেরিয়েই হাতি মাথায় উঠতে হবে।
কীভাবে যাবেন?
দেশের যে কোনো স্থান থেকে প্রথমে খাগড়াছড়ি পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যাবেন হাতিমুড়া। এরপর পানছড়ি যাওযার পথে জামতলীস্থ যাত্রী ছাউনির সামনে নামতে হবে।
বামদিকের রাস্তা ধরে সোজা গিয়ে চেঙ্গী নদী পেরিয়ে ডান দিকে স্কুল। সেখান থেকে ঘণ্টাখানেক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন স্বর্গের সিঁড়িতে। সেখানে রাত্রিযাপনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ফিরে আসুন খাগড়াছড়িতে।
বিএসডি /আইপি