নিজস্ব প্রতিবেদক,
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হালদা নদীর তীরে তৈরি করা প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ প্রকেল্পর ২৬টি ঘর পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান। রবিাবর দুপুরে তিনি হালদা নদীর তীরে হাটহাজারীর গুমান মর্দন এলাকায় নির্মিত ঘরগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীদুল আলম, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক প্রমুখ। এ সময় ২৬ পরিবারের ৩৫০ জনকে দেয়া হয় ত্রাণ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানকে ধারণ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কাজটি সফলভাবে বাস্তবায়নে পুরো জেলাকে কয়েকটি ক্লাস্টারে ভাগ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দুই ধাপে জেলা প্রশাসন মোট ২ হাজার ২১৬টি গৃহ নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়। হাটহাজারীতে নির্মিত ঘরগুলোর বাসিন্দার জন্য নাগরিক সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়।
জানা যায়, হাটহাজারীর গুমান মর্দ্দন ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি, দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০টি ও বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কর্তৃক ১টিসহ মোট ২৬টি গৃহ নির্মাণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় নিকটবর্তী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০০ মিটার এলাকার মধ্যে আছে বিদ্যালয়, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির ও বাজার। উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়কটির দূরত্ব ১০০ মিটার। নাগরিক সুবিধার সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি সকল বিভাগ একসঙ্গে এই প্রকল্পটিতে কাজ করছে। বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধার আওতায় আনা হয় পুরো আবাসস্থলকে। ২৬টি পরিবারের জন্য ইতোমধ্যেই খনন করা হয় একটি পুকুর, সেখানে ছাড়া হয়েছে মাছের পোনা ও রোপন নেয়া হচ্ছে নানা জাতের ফলের গাছ। উপকারভোগিদের কেউ কেউ হস্তশিল্পে পারদর্শী। তাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য বাজারজাতকরণে মহিলা বিষয়ক অফিস ও যুব উন্নয়ন অফিসের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিএসডি/আইপি