নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচন জমে উঠেছে। নানা অভিযোগ মাথায় নিয়েও ফের জগ প্রতীকে মাঠে রয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুর আলম।
সরকারদলীয় প্রার্থী লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান পিছিয়ে আঞ্চলিতায়। ২০১৬ সালে বিদ্রোহী আশরাফ নৌকা প্রতীকের লিপি খানমকে হারিয়ে জয়লাভ করেন।
২০০৩ সালে নবগঙ্গা নদীর দুইপাড়ের লক্ষ্মীপাশা, লোহাগড়া আর জয়পুর ইউনিয়নের অংশ নিয়ে ১৫ বর্গ কিলোমিটার লোহাগড়া পৌরসভা যাত্রা করে। নদীর এপারে থানা, উপজেলা পরিষদ এলাকার ৫০ শতাংশ ভোটার বসবাস করে। ওপারের লোহাগড়া দক্ষিন, মাইটকুমড়া, কুন্দশী, পোদ্দারপাড়া মিলে ভোট ৩৭ শতাংশ আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাড়ির জয়পুর অংশে ১৩ শতাংশ ভোটার যা আঞ্চলিতায় একবারেই সংখ্যালঘু। বিদ্রোহী আশরাফুলের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের আ.লীগের আরেক প্রার্থী রোজিয়া সুলতানা এমপি মাশরাফির চাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে আশরাফুলের মাঠ ফাঁকা হয়ে যায়।
বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুলের সমর্থকের অভিযোগ, তাদের সকল পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে আ.লীগের প্রার্থীর লোকজন, প্রচার মাইক ও কর্মীদের বের করতে দেওয়া হচ্ছে না, বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রচারণায়। ২১ অক্টোবর রাতে তার ভাই জসিমকে কচুবাড়িয়া থেকে এবং ইমরান ও শিমুলকে কুপিয়েছে জয়পুর থেকে। ইমরানের চোখে কোপ লাগায় তার একটি চোখ উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।
বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলম উন্নয়ন প্রসঙ্গে নানা জটিলতার কথা উল্লেখ করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মসিয়ুর রহমান এর প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। তিনি যেসব এলাকায় গণসংযোগ করছেন সেখানে তার গ্রামের গুটিকয়েক মানুষ সাথে রয়েছে যারা, স্থানীয় নেতাকর্মীদের তার পাশে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগের কর্মীদের না থাকা এবং কারচুপির মাধ্যমে ভোটে জেতার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভোট হবে ইভিএম এ এখানে কারচুপির প্রশ্নই ওঠে না। আমার সাথে উপজেলা আর জেলা আওয়ামী লীগের সবাই তো রয়েছে।
আ.লীগ সমর্থক লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ী নেতা শাহাদৎ হোসেন সাবু বলেন, বর্ষার কাদা-পানিতে বাজারে নারীরা কাপড় তুলে হাঁটেন। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ৫ বছরে বাজারে তিনি ২ বার এসেছেন কিনা সন্দেহ।
বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আবুল হোসেন পাল্টা বলেন, লোহাগড়া বাজারে উন্নয়ন না হলেও মেয়র আশরাফের ৫ বছরে কোনো চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস হয়নি। আমরা খুবই নিরাপদে ব্যবসা করেছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভোটার বলেন, নৌকার প্রার্থী জয়পুর এলাকার লোক। তিনি নির্বাচিত হলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে লোহাগড়ায়। আমরা পৌরবাসী হয়ে তা সহ্য করতে পারব না। ভালোমন্দ যাই হোক আশরাফুলই ভরসা।
লোহাগড়া পৌর নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। কোনো প্রকার কারচুপি হবে না। স্বচ্ছ ভোট হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।
বিএসডি/আশরাফ/আইপি