জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে হয়ে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রেলপথে চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেনের নাম কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কিংবা তার উপন্যাসের চরিত্রের নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছে ভক্তদের স্থানীয় সংগঠন হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি পরিষদ। এছাড়া গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে হুমায়ূন আহমেদ চত্বর প্রতিষ্ঠা ও ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানান তারা।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনে হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মোৎসবের অনুষ্ঠান থেকে সরকার ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই তিন দাবি জানানো হয়।
জন্মোৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য এইচএম খায়রুল বাসার। তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ রচিত গৌরীপুর জংশন একটি কালজয়ী উপন্যাস। লেখকের স্মৃতি খুঁজতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এখানে ছুটে আসে। দাবিগুলো পূরণ হলে গৌরীপুর জংশন দর্শনীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হবে।
সংগঠনের সভাপতি মোতালিব বিন আয়েত বলেন, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের জন্যই গৌরীপুর জংশন আজ দেশ-বিদেশে পরিচিত নাম। গৌরীপুর জংশনে লেখকের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ট্রেনের নামকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে আমরার রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও দাবি পূরণ হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে উদ্যোগী হবেন।
গৌরীপুর পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, দেশের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থায় বনলতা এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটারসহ বিভিন্ন নামে আছে। তাই হুমায়ূন আহমেদ কিংবা তার উপন্যাসের চরিত্র মিসির আলী, হিমু নামে ট্রেনের নামকরণের দাবিটি অমূলক নয়।
হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন গৌরীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজিম উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রউফ মোস্তাকিম, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীযুশ রায় গণেশ, সাপ্তাহিক রাজগৌরীপুরের উপদেষ্টা সম্পাদক আজম জহিরুল ইসলাম, গৌরীপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুর রশিদ, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মশিউর রহমান কাউসার, গৌরীপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রায়হান উদ্দিন সরকার, সহকারী শিক্ষক পলাশ মাজহার, রায়হান উদ্দিন সরকার, আমিরুল মোমেনীন, মোজাম্মেল হোসেন, জামাল উদ্দিন, মিলন খান প্রমুখ।