নিজস্ব প্রতিবেদক:
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাকে ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে টেলিফোনে বর্তমান সময়কে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল ফুলবাড়ীয়াতে। সেটা বদলে এখন পৌর সভার বাইরে বটতলীতে হবে। পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করার পর আমাদের নতুন জায়গায় সমাবেশ করার জন্য নতুন করে অনুমতি নিতে হয়েছে।’
পথে আটকে রাখার বিষয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আশুগঞ্জ ভৈরব ব্রিজের মুখে প্রায় আড়াইশ পুলিশ আমাকে প্রায় ১ ঘণ্টা রাস্তায় আটকে রাখে। তারা আমাকে ব্রিজে উঠতে দেবে না। সেখানে তাদের সঙ্গে আমার বাক-বিতণ্ডা, কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাদেরকে বলেছি, আমাকে যেতে না দিলে আমি রাস্তায় বসে পরব। তারা বলেন, আপনি রাস্তা বন্ধ করতে পারবেন না। তখন আমি বলি, আপনি তাহলে আইন যা বলে তা করেন।’
সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে আইনের কথা বলেছে। তাকে আমি বলেছি, পুরো পেনাল কোড আমার মুখস্ত। আমাকে আইন দেখিয়ে তো লাভ নেই।’
‘এক পর্যায়ে তারা আমাকে বলেন, ঠিক আছে, আপনি প্রেসের সঙ্গে মিট করলে উজান-ভাটি রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত যেতে পারবেন। এর পরে আর যেতে পারবেন না। তারপর উজান-ভাটিতে গিয়ে বসি, নারী পুলিশসহ প্রায় দুই থেকে আড়াইশ পুলিশ আমাকে ঘিরে রাখে। আমির খশরু মাহমুদ চাচা সেখানে আসেন। তার সঙ্গে সেখানেই কিছু সময় বসেছি। এরপর ৩টার দিকে আমরা রওনা দেই,’ যোগ করেন তিনি।
যাত্রা পথের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও পুলিশ আমাদের কর্ডন করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পিছনে কয়টা গাড়ি আছে জানি না, তবে সামনে ৩টা পুলিশের গাড়ি দেখতে পাচ্ছি।’
এভাবে সমাবেশ স্থল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে কি না জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি তাই মনে করছি।’
বিএসডি/ এলএল