নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৭০)। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া পেশা তেলের ঘানি টেনে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে এখন তিনি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনুস আলীর বাড়ি ধরলা নদীর পাড়ে। ৪-৫ বার তার বসতভিটে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। বাপ-দাদার রেখে যাওয়া পেশা টিকিয়ে রাখতে ৫০ বছর ধরে তেলের ঘানি টানছেন। এই আয় দিয়ে দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে বড় করেছেন। তাদের সবাইকে বিয়েও দিয়েছেন। আবাদি জমি কিনে বাড়ি করেছেন। বর্তমানে তার ঘানিতে যে গরু রয়েছে তার দাম লাখ টাকা। সব মিলে ঘানি থেকে প্রতিদিন আয় করছেন ৭০০-৮০০ টাকা।
ইউসুফ আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ দরে বাজার থেকে সরিষা কেনেন। এক মণ সরিষা থেকে ১২ কেজি তেল উৎপাদন করা যায়। প্রতি কেজি তেল বিক্রি করেন ৩০০ টাকা কেজিতে। ১০ কেজি সরিষা থেকে তেল উৎপাদন করতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। এভাবে ঘানি টেনে প্রতিদিন লাভ হয় ৭০০-৮০০ টাকা। সারা দিনে তার ব্যয় হয় ২০০-৩০০ টাকা।
ইউসুফ আলী বলেন, ঘানিতে তেল ভাঙা বাপ-দাদা ব্যবসা। তাদের মৃত্যুর পরও আমি এ ব্যবসা ধরে রেখেছি। যত দিন বেঁচে থাকব এটা চলবে। আজ ৫০ বছর ধরে তেলের ঘানি টানছি। এই ব্যবসার আয় দিয়ে জমি-জমা করেছি। ছেলে-মেয়েদের বড় করছি। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে ভালো চলছি।
স্থানীয় কাঁঠাল বাড়ি ইউপির সদস্য আবু তাহের জানান, ইউসুফ আলীর বাড়ি আগে চরে ছিল। এখানে বাড়ি করাও প্রায় ৩০-৩৫ বছর হয়েছে। তখন থেকেই দেখছি তার তেলের ব্যবসা। তেলের ঘানি টেনেই অনেক কিছু করেছে ইউসুফ।
বিএসডি /আইপি