নিজেদের জিম্মায় থাকা থাই নাগরিকদের মধ্যে ৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) দিকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কাতারের অবস্থানরত হামাসের হাইকমান্ডের একটি সূত্র এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইআরআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে এই জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি যাত্রীবাহী বিমান তাদের নিয়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনাও হয়ে গিয়েছে।
ইসরায়েলে কয়েক হাজার থাই নাগরিক বসবাস করেন এবং তাদের অধিকাংশই কৃষি শ্রমিক। ইসরায়েলের গ্রাম ও শহরতলী এলাকাগুলোর বিভিন্ন খামারে কাজ করেন তারা।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে মোট ৩২ জন থাই নাগরিক রয়েছেন। ২৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালে এই ৩২ জনের মধ্যে ১৭ জন ফিরে এসেছেন।
সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ৬ জন দেশে ফিরলে এই সংখ্যা পৌঁছাবে ২৩ জনে।
বিএসডি / এলএম