প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নিজ ঘরে আটক রেখে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিপুল হোসেন (২৭) নামের এক পরিবহন শ্রমিক। ধর্ষণের সময় ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে বিপুল হোসেনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বিপুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিপুল হোসেন উপজেলার আড়কাটিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
আজ বুধবার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে পরিবহন শ্রমিক বিপুল হোসেনকে ওই মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে একই এলাকার এক পোশাক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করত সেই ছাত্রী।
এ অবস্থায় গত ১০ জুন মেয়েটি ঢাকা থেকে শেরপুর এলাকার বাবার বাড়ির উদ্দেশে আনু পরিবহনে রওনা হয়। ওই গাড়ির চালকের সহকারী বিপুল হোসেন। বিপুল হোসেনের একই এলাকার হওয়ায় গাড়ির মধ্যে মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে কৌশলে মেয়েটির মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে বিপুল। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে গতকাল মঙ্গলবার মেয়েটিকে কৌশলে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যান বিপুল। এরপর বিপুল নিজের ঘরের ভেতর হত্যার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার ও বিপুলকে আটকের পর থানায় সোপর্দ করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস ছালাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।