আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ৫৭ অনাস্থা ভোটে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার সকালে জিও টিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯-১৪২ ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন ইমরান।
তবে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল বুধবার ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)।
পার্লামেন্টে তাদের সাতজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন। ভোটের আগে বিরোধীদের সঙ্গে তাদের হাত মেলানো ধুঁকতে থাকা পিটিআই সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের সংসদে আস্থা ভোট। সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৪২। ম্যাজিক ফিগার ১৭২। অর্থাৎ ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইমরান খানের প্রয়োজন ১৭২টি ভোট। ইমরান খানের দল ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ’র (পিটিআই) জোট শরিক এমকিউএমের ভোট ছিল ৭টি। এমকিউএম বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মেলানোর পর ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের পক্ষে সংসদ সদস্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭। ইমরানের সমর্থনে আছেন ১৬৪ জন সদস্য। সংখ্যার এই সমীকরণ জারি থাকলে ইমরানের সরকার গদিচ্যুত শতভাগ নিশ্চিত।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় দৈনিক ডনের খবর মোতাবেক, ৩ এপ্রিল জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির দিন পিটিআই এমপিদের কেউই যেন উপস্থিত না থাকেন। থাকলেই ভোট দেওয়া থেকে যেন বিরত থাকেন। মঙ্গলবার শেষবেলাতেই শেষ রক্ষাকবচ হিসাবে দলীয় এমপিদের উদ্দেশে এ নির্দেশ দেন ইমরান খান। গদি রক্ষার এই শেষচেষ্টা কতটুকু সফল হবে তা নিয়েও চিন্তার ভাঁজ খোদ দলের অন্দরমহলেই। সরকারি এমপিরা চুপ থাকলেও বিরোধীরা কি বসে থাকবেন? তাদের ভোট তো পড়বেই।
২৮ মার্চ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশে নেতৃত্ব দেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ । তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা।
বিএসডি/ এমআর