ধর্ম ডেস্ক,
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা নিজদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।’
‘আর তোমরা অন্যায় ভাবে পরস্পরের মাল গ্রাস করো না এবং জানা সত্ত্বেও অসৎ উপায়ে লোকের মাল গ্রাস করার উদ্দেশে তা বিচারকের নিকট নিয়ে যেয়ো না।
উল্লেখিত আয়াতে মানুষের সম্পদে স্বতন্ত্র অধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একজন মানুষ অন্যায়ভাবে যেমন মিথ্যা শপথ, ডাকাতি, চুরি, ঘুষ নিয়ে ও সুদ খেয়ে অন্যের সম্পদ হরণ করবে তা হারাম।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজে বলেন, একজন মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের মান-সম্মান, রক্ত, সম্পদ সব কিছু হারাম। (সহীহ বুখারী হা: ৬৮, সহীহ মুসলিম হা:১৬৭৯
হাফেয ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন: এখানে ঐ সব ব্যক্তিদের আলোচনা করা হচ্ছে, যাদের কাছে অপরের কোন প্রাপ্য থাকে কিন্তু প্রাপকের নিকট তার প্রাপ্য অধিকারের কোন প্রমাণ থাকে না, ফলে এ দুবর্লতার সুযোগ গ্রহণ করে সে আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচারকের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ফায়সালা করিয়ে নেয় এবং এভাবে সে প্রাপকের অধিকার হরণ করে। এটা জুলুম ও হারাম। আদালতের ফায়সালা জুলুম ও হারামকে বৈধ ও হালাল করে দিতে পারে না। আদালত কেবল বাহ্যিক দিক অবলোকন করে বিচার করে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি একজন মানুষ। লোকজন আমার নিকট বিবাদ নিয়ে উপস্থিত হয়ে থাকে। স্বভাবত একজন অপরজন অপেক্ষা বেশি যুক্তিতর্কে পারদর্শী হয়ে থাকে। তার যুক্তিপূর্ণ কথা শুনে আমি হয়তো তারই পক্ষে ফায়সালা দিয়ে থাকি (অথচ প্রকৃত ঘটনা এর বিপরীত)। তবে জেনে রেখ যে ব্যক্তির পক্ষে এরূপ ফায়সালা দেয়ার ফলে কোন মুসলিমের হক আমি তাকে দিয়ে দেই, ওটা হবে তার জন্য জাহান্নামের আগুনের টুকরা। অতএব সেটা সে গ্রহণ করবে বা ছেড়ে দেবে। (সহীহ বুখারী হা: ২৬৮০)
কাতাদাহ (রহ.) বলেন: হে আদম সন্তান! জেনে রেখ, বিচারকের মীমাংসা তোমার জন্য হারামকে হালাল এবং অন্যায়কে ন্যায় করে দিতে পারে না। বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুসারে বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচার করে। তাছাড়া তিনি মানুষ, তার দ্বারা ভুল হওয়াও সম্ভব। (তাফসীর ইবনে কাসীর, অত্র আয়তের তাফসীর) বান্দার হক কে আমরা তুচ্ছ মনে করি, কিন্তু বান্দার হক নষ্ট করা আল্লাহর হক নষ্ট করা থেকেও ভয়াবহ !
হক দুই প্রকার :
এক. আল্লাহর হক :
আল্লাহর হক নষ্ট করলে আল্লাহ চাইলে শিরক ব্যতীত অন্য যে কোনো গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন বলে আমাদের বলেছেন! নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সঙ্গে কাউকে শরীক করে! এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন! যে আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়! (সূরা নিসা: ১১৬) তবে এই আয়াতে উল্লেখিত গুনাহ হচ্ছে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত যেগুলো আল্লাহর হক সেগুলো পালন না করার গুনাহ!
দুই. বান্দার হক :
বান্দার হক নষ্ট করার গুনাহ ক্ষমা করার এখতিয়ার আল্লাহ নিজ হাতে রাখেননি! যেমন, আমি যদি একজনকে ধোঁকা দিয়ে ১ টি টাকাও নিয়ে নিই, কোনো কথা বা গালির সাহায্যে মনে কষ্ট দেই, তবে একমাত্র সেই লোক (যার হক নষ্ট করলাম) সে বাদে আর কেউ ক্ষমা করতে পারবে না!
বান্দার হকের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন,
ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻢُ ﻣَﻦْ ﺳَﻠِﻢَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻣِﻦْ ﻟِﺴَﺎﻧِﻪِ ﻭَﻳَﺪِﻩِ، ﻭَﺍﻟْﻤُﻬَﺎﺟِﺮُ ﻣَﻦْ ﻫَﺠَﺮَ ﻣَﺎ ﻧَﻬَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ
প্রকৃত মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার কথা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে! আর মুহাজির সেই ব্যক্তি, আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা যে পরিত্যাগ করে! (সহীহুল বুখারী: ৬৪৮৪)
অন্যত্র রাসূল ( সা:) বলেন,
ﺑِﺤَﺴْﺐِ ﺍﻣْﺮِﺉٍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﺮِّ ﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻘِﺮَ ﺃَﺧَﺎﻩُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻢَ ﻛُﻞُّ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻢِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻢِ ﺣَﺮَﺍﻡٌ ﺩَﻣُﻪُ ﻭَﻣَﺎﻟُﻪُ ﻭَﻋِﺮْﺿُﻪُ
একজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে হেয় মনে করে! এক মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলিমের জন্য হারাম! (সহিহ মুসলিম: ৬৪৩৫
মহান আল্লাহ, সুরা হুজুরাত-এর পরপর তিনটি আয়াতে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করছেন!
ঝগড়া হলে মীমাংসা করে নেয়াঃ-
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺇِﺧْﻮَﺓٌ ﻓَﺄَﺻْﻠِﺤُﻮﺍ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﺧَﻮَﻳْﻜُﻢْ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﺮْﺣَﻤُﻮﻥَ
নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই, তাই তোমাদের ভাইদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও আর আল্লাহকে ভয় কর যেন তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও! (আল-হুজুরাত, ৪৯/১০)
হাদীসে পারস্পরিক বিবাদ মীমাংসা করে দেওয়াকে সিয়াম, ছাদাক্বাহ, এমনকি সলাতের চাইতে উত্তম বলা হয়েছে! (সহীহ আবু দাঊদ: ৪৯৯২)
একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) তার পাশে উপবিষ্ট সাহাবায়ে কিরাম (রা.)কে বললেন-তোমরা কি জানো,গরীব কে ? সাহাবায়ে কিরাম (রা.) বললেন-আমাদের মধ্যে তো গরীব তাদেরকে বলা হয়,যাদের কাছে ধন-সম্পদ,টাকা-পয়সা না থাকে। তখন রাসুলূল্লাহ (সা.)বললেন- প্রকৃত পক্ষে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে গরীব সে, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত, সবকিছু নিয়ে উঠবে,কিন্তু তার এ কর্মগুলো থাকবে যে, সে দুনিয়াতে কারো সঙ্গে মন্দ আচরন করেছে, কারো নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে আঘাত করেছে, কাউকে খুন করেছে ইত্যাদি, তাই এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন তার কিছু নেকী একে দিবে, কিছু নেকী ওকে দিবে! এভাবে দিতে দিতে বান্দার হক আদায়ের পূর্বে যদি তার নেকী শেষ হয়ে যায়, তাহলে এই হকদারদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে! (সহীহ মুসলিম: ৬৪৭৩)
অবৈধভাবে সম্পদের অধিকারী হওয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। এ ধরনের অপরাধ ইসলামে কবিরা গুনাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন : এক সফরে করকরাহ নামক এক লোক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাল-সামানার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। তার মৃত্যুর পর রাসূল (সা.) বললেন :‘সে জাহান্নামি।’ সবাই গিয়ে দেখতে পেল, সে আলখাল্লা জাতীয় একটি পোশাক অবৈধভাবে দখল করেছিল। (মালেক, আহমদ আবু দাউদ)।
হজরত যায়েদ বিন খালেদ জুহানী (রা.) বর্ণনা করেন, এক লোক খায়বর যুদ্ধের সময় গোপনে কিছু একটা আত্মসাৎ করেছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার জানাজা পড়া থেকে বিরত থাকেন এবং বলেন : ‘তোমাদের এ সাথীটি আল্লাহর পথে জিহাদে অংশ নিয়ে কিছু একটা লুকিয়ে ফেলেছিল।’ বর্ণনাকারী বলেন : অনন্তর আমরা তার মাল-সামানা তালাশ করে দুই দিরহাম মূল্যমানের একটি রেশমি কাপড় পেলাম, যা ছিল ইহুদিদের। ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন : ‘আমার জানা নেই, নবী (সা.) আত্মসাৎকারী ও আত্মহত্যাকারী ছাড়া আর কারও জানাজার নামাজ থেকে বিরত থেকেছেন কিনা।’ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,‘সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত উপঢৌকন সামগ্রী আত্মসাতের অন্তর্ভুক্ত।’ (আহমদ, ইবনে মাজা)।
অপরের সম্পত্তি, অর্থ কিংবা জিনিসপত্র আত্মসাৎ করা জুলুমের পর্যায়ে পড়ে। ইসলাম এ ধরনের জুলুম থেকে সবাইকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জুলুম বা অত্যাচার তিন ধরনের: (ক) অবৈধভাবে কারও সম্পদ গ্রহণ, খাওয়া অথবা ভোগ করা (খ) কাউকে খুন, প্রহার ও আহত করার মাধ্যমে নির্যাতন করা (গ) গালাগাল, অভিশাপ, গিবত ও মিথ্যা অপবাদ আরোপের মাধ্যমে কারও সম্ভ্রমের ওপর অত্যাচার করা।
দুনিয়াতে যদি আপনি কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেন, কৌশলে নিজের নামে লিখিয়ে নেন, আইল ঠেলে জায়গা বাড়িয়ে নেন, বিদেশ থেকে ভাই টাকা পাঠিয়েছে আপনি কৌশলে সেই টাকা নিজের নামে জমা করেন, এগুলো হারাম। এই আত্মসাৎ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। কিয়ামতের ময়দানে বাবা-ছেলে কেউ কাউকে চিনবে না।
রাসূল (সা.) একদিন সাহাবিদের বললেন, ‘তোমরা কি জানো তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে অভাবী?’ সাহাবিরা বললেন, হে রাসূল! আমরা তো জানি যার সম্পদও নেই টাকাও নেই সে-ই অভাবী। রাসূল (সা.) বললেন, ‘না সে তো সাময়িক সময়ের অভাবী। অভাব দূর হয়ে যেকোনো সময় সে বড়লোক হয়ে যেতে পারে। আসল অভাবী হলো সেই ব্যক্তি যে অনেক নেক আমল করেছে কিন্তু অন্য বান্দার হক নষ্ট করেছে। কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ বলবেন, তোমার আমল থেকে দেনা পরিশোধ করো। পরিশোধ করতে করতে আমল শেষ হয়ে যাবে কিন্তু তার দেনা শোধ হবে না। তখন পাওনাদারের গোনাহ ওই সম্পদ আত্মসাৎকারীর ওপর দেয়া হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে দেয়া হবে।’
কারো জমি দখল করা, জাল দলিল করে নেয়া, জমির আইল ঠেলা, বাবার সম্পত্তি থেকে বোনের হক না দেয়া, দাদার সম্পত্তি থেকে ফুফুর হক না দেয়া, স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ না করা ইত্যাদি হলো বান্দার হক নষ্ট করার উদাহরণ। কিয়ামতের দিন আত্মসাৎকারীকে পাওনাদাররা বলবে, দুনিয়াতে তো অনেক গায়ের জোর ছিল তাই শক্তির বাহাদুরি করেছো আজ আহকামুল হাকিমিনের সামনে কোনো কাহিনী চলবে না। তখন কী হবে? জমি তো আর নেই দেবেন কী?
অন্যের সম্পদ দখল করা আর জাহান্নামের টিকিট বুকিং দেয়া এক জিনিস। রাসূল সা: বলেছেন, কারো এক বিঘত সম্পদ যদি কেউ আত্মসাৎ করে তাহলে কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তার গলায় সাত স্তবক জমিন ঝুলিয়ে দেবেন। ধসাতে থাকবেন তাকে। অন্য সাধারণ গুনাহ করলে বা আল্লাহর হকের সঙ্গে জড়িত কোনো হুকুম লঙ্ঘন করলে এত বড় সমস্যা নেই যত বড় সমস্যা মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করলে রয়েছে। কারণ এটি বান্দার হক। আর বান্দার হক নষ্ট করলে সেটি আল্লাহ নিজে মাফ করবেন না। কিন্তু আল্লাহর হক নষ্ট করলে চাইলে আল্লাহ মাফও করতে পারেন, আবার শাস্তিও দিতে পারেন।
তাসবিহ করে, কুরআন খতম করে কোনো লাভ হবে না যদি মানুষের হক নষ্ট করেন। মুসনাদে আহমাদে এসেছে, আল্লাহর আদালতে তিন ধরনের মামলা উঠবে, এক. এই মামলা ক্ষমার অযোগ্য। সেটি হলো শিরক করে তাওবা ছাড়া মারা যাওয়া। দুই. এটি হলো আল্লাহ বাদি মামলা। অর্থাৎ আল্লাহর হক সংশ্লিষ্ট বিধান না মানা। সেগুলো আল্লাহ চাইলে মাফ করতে পারেন, চাইলে সাজা দিতে পারেন। তিন. বান্দা বাদি মামলা। কারো হক নষ্ট করা, কাউকে গালি দেয়া, কারো জমি আত্মসাৎ করা এই সব মামলার বিষয়ে আল্লাহ বলবেন, ‘এই মামলা আমার কাছে না। ওই বান্দা যদি তোমাকে ছাড় দেয় তো দিলো আর না দিলে আমি আল্লাহর কিছু করার নেই।’
মনে রাখতে হবে কিয়ামতের ময়দানে কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। সুতরাং মানুষের সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না। কেউ আমল একটু কম করুন, কিন্তু কারো সম্পদ আত্মসাৎ করবেন না
মিনায় বিদায় হজের ভাষণে রাসূলুল্লাহ (সা.) এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বলেছেন : ‘সাবধান! তোমাদের রক্ত (জীবন), তোমাদের সম্পদ এবং তোমাদের ইজ্জত-সম্ভ্রম তোমাদের পরস্পরের জন্য নিষিদ্ধ, যেমন এ শহরে, এ মাসে ও আজকের দিনে (যুদ্ধ করা) নিষিদ্ধ।’ (বোখারি, মুসলিম)। আর এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন : ‘আল্লাহপাক পবিত্রতা (অর্জন) ছাড়া নামাজ গ্রহণ করেন না এবং আত্মসাৎকৃত সম্পদের সদকাও কবুল করেন না। (মুসলিম)।
উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে, কেউ অবৈধভাবে কোনো সম্পদের মালিক হলে সে সম্পদ যদি দান খয়রাত ও ভালো কাজে ব্যবহার করা হয়, তারপরও তা আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। অতএব, অপরের ধন-সম্পদ বা মালামাল আত্মসাতের গুনাহ থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে।
শিক্ষণীয় বিষয় :
১. অন্যায়ভাবে মুসলিম ভাইয়ের সম্পদ হরণ করা হারাম।
২. বিচার-ফায়সালায় অন্যায়ভাবে রায় প্রকাশে ঘুষ দেয়া ও নেয়া উভয়ই হারাম।
৩. বিচারক অজান্তে কারো জিনিস অন্যকে দিয়ে দিলেই হালাল হয়ে যাবে না।
৪. কোনো মানুষ এমন কি রাসূলুল্লাহ (সা.)ও মানুষের অন্তরের খবর জানেন না। বরং প্রকৃতপক্ষে শুধু আল্লাহ তায়ালাই সকলের অন্তরের খবর জানেন।
বিএসডি/এএ