সারাদেশে চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
রোববার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের ব্যানারে একটি মিছিল বের করা হয়।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই অবরোধ শুধুমাত্র ভোটের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্রের জন্য। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানি করে লাভ হবে না। বরং নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। আন্দোলনের মাঠ থেকে নেতাকর্মীরা নিবৃত হবে না। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। আমরা রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করে ছাড়ব।
সুপ্রিম কোর্ট বার এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি আর নির্বাচনের নাটক করবেন না। আপনি যদি এটা করেন… তাহলে মনে রাখবেন এটা কিন্তু ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সাল নয়, এটা ২০২৩ সাল। বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে দিয়ে দলটিকে শেষ করতে পারবেন না। জনগণের মধ্য থেকে নেতৃত্ব এগিয়ে আসবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এই আন্দোলন শুধু বিএনপির না। সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত। গণতন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। নির্বাচনের নামে নাটক সাজিয়ে আপনি ক্ষমতায় টিকে আছেন। এর অবসান হবে। নির্দলীয় সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আগামী সপ্তাহে আরও কঠোর কর্মসূচি আসছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএলএফ সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক শাহ আহমেদ বাদল।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের সমন্বয়ক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার নাসরিন আক্তার ও ইউএলএফ সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের কো-কনভেনর মোহাম্মদ আলীসহ অনেকে।
বিএসডি / এলএম