নিজস্ব প্রতিবেদক,
অবশেষে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধারে আস্তানা গাড়া কুমিরটি পাকড়াও করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে কুমিরটি জলাধারের কাছে একটি হাঁস খেতে আসলে এলাকাবাসী দেখে সকলে একত্রিত হয়ে সেটি জাল দিয়ে আটক করে। বর্তমানে কুমিরটিকে জাল দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। কুমিরটি নিতে খুলনা থেকে প্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত ওই জলাধারে গত ২৪ জুলাই কুমিরটি দেখতে পায় এলাকাবাসী। এরপর গত ২৮ ও ৩১ আগস্ট সেটি ধরতে দুই দফা অভিযান চালায় প্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা। তবে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জলাধারের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ১ হাজার মিটার ও প্রস্ত ৭৫ থেকে ১০০ মিটার। এলাকা ভেদে এ জলাধারের গভীরতা ৫ মিটার থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত। এতদিন কুমিরের ভয়ে আতংকিত সময় কাটাচ্ছিলো চর এলাকার মানুষ। গত ২৪ জুলাই সকালে কুমিরটি চর এলাকার জলাধারে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে সর্ব সাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা আসলাম হোসেন জানান, ২৪ জুলাই সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া (৩৫) পদ্মা নদী থেকে আনুমানিক ৪ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ধরেন। মাছটি তাজা রাখার জন্য মাছের মুখে দড়ি বেঁধে জলাশয়ের মধ্যে চুবিয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলে আনার জন্য দড়ি ধরে টান দিলে জলাধারে কুমির দেখতে পান।
১ হাজার ৪০০ হাত লম্বা ও ৩২ হাত চওড়া জাল দিয়ে একবার এবং মীর মালতের ডাঙ্গী গ্রামের চানু মোল্লার (৫৪) ৪ হাজার হাত লম্বা ও ২০ হাত চওড়া জাল দিয়ে একবার কুমিরটি ধরার চেষ্টা করা হয়। কুমির জালে আটকাও পড়ে, কিন্তু প্রতিবারই জাল ছিঁড়ে বের হয়ে যায়।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটি ধরার জন্য দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। ফলে এলাকাবাসীর মনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এবার এলাকাবাসী কুমিরটি আটক করেছে। খুলনা থেকে কর্মকর্তারা পৌঁছালে এটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বিএসডি/আইপি