নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য জনগণকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান জাতীয় সংকট এবং সমাধানে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বেলার প্রধান নিবার্হী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশ আজ সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আজ ভগ্নদশা। জনগণের দাবি যখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয় আইন করা, ঠিক তখন সরকার দেশ ও জাতির বিবেককে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করেছে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য, যা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বলে প্রচার করা জাতির সঙ্গে তামাশা ও এক মহা প্রহসনমাত্র।’
তিনি বলেন, ‘দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ৭২ সালে সংবিধান রচিত হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য যে দেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সে সংবিধান বহুলাংশে উপেক্ষিত। আজ দেশের সেই মালিকগণ তাদের মালিকানা হারিয়েছেন। দেশের জনগণ একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়।’
‘জনগণ ঐক্যবদ্ধ না হলে এই অব্যবস্থাপনার নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে না,’- বলেন ড. কামাল।