নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলার বিচার শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, আজ প্রদীপের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জ গঠনের তারিখ ছিল। আদালত শুনানি শেষে চার্জ গঠন করে বিচারিক কার্যকম শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৭ জানুয়ারি প্রদীপের দুর্নীতির মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, আসামিপক্ষ থেকে প্রদীপের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।
গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। তবে প্রদীপ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি।
জানা গেছে, চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক।
গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় বোনের করা মামলায় ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। যে মামলার আসামি প্রদীপসহ ১৫ জন।
বিএসডি/জেজে