ক্রীড়া ডেস্কঃ
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না রেড ডেভিল সমর্থকদের। পর্তুগিজ সুপারস্টার সেই উচ্ছ্বাসে রঙ লাগিয়েছেন। ম্যানইউতে প্রত্যাবর্তনের গল্পটা রোনালদো লিখলেন নিজস্ব স্টাইলে। জোড়া গোলে রাঙালেন ‘অভিষেক’। শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ওলে গানার সুলশারের দল।
রোনালদোর সুপারস্টার হয়ে ওঠা ম্যানইউর জার্সিতেই। ১৮ বছর বয়সে রোনালদোর প্রথম ইউনাইটেড অভিষেক ২০০৩ সালে। সেদিন রোনালদো নামতে চেয়েছিলেন ২৮ নম্বর জার্সি পরে। কিন্তু ম্যানইউর তখনকার কোচ স্যার আলেক্স ফার্গুসন রোনালদোর মধ্যে দেখেছিলেন বিশ্ব তারকার ছায়া।
রোনালদোর গায়ে চাপিয়ে দেন ৭ নম্বর জার্সি। রোনালদোর প্রথম ম্যানইউ অভিষেক হয়েছিল বদলি হিসেবে। সেদিন ডাগআউটে ছিলেন ফার্গুসন। এই স্কটিশ কিংবদন্তির হাত ধরেই রোনালদোর বিশ্ব তারকা হয়ে ওঠার শুরু। শনিবার নিউক্যাসলের বিপক্ষে রোনালদোর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফেরার দিন স্টেডিয়ামে ছিলেন ফার্গুসন।
পাঁচবারের বর্ষসেরা রোনালদো বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘ম্যানইউতে তিনি ছুটি কাটাতে আসেননি’। রোনালদোর সেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞার রূপ দেখলো নিউক্যাসল। ম্যানইউকে প্রথম লিড এনে দেয়া গোলটি এসেছে রোনালদোর পা থেকে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রোনালদোর গোলে রয়েছে ভাগ্যের ছোঁয়া। ম্যাসন গ্রিনউডের দুর্বল হেড নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ নিউক্যাসল গোলরক্ষক। কাছেই থাকা রোনালদো ক্ষিপ্র গতিতে ডান পায়ের ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান।
বিরতির পর একাদশতম মিনিটে নিউক্যাসলকে সমতায় ফেরান হাভিয়ের ম্যানকিয়ো। ৬২তম মিনিটে আরো একবার ম্যানইউকে এগিয়ে দেন রোনালদো। লুক শ’র বাড়ানো বল ধরে দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে বাম পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
৮০তম মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং ম্যাচের যোগ করা সময়ে জেসে লিনগার্ডের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।
বিএসডি/এএ