নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বান্ধবী ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান শুভ্রা রানী ঘোষ দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, দুদকের দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
এর আগে গত ২২ মার্চ শুভ্রা রানী ঘোষকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিনই তাকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শুভ্রা রানীসহ ১১ আসামি প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ওয়ামা লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন। সংশ্লিষ্ট ঋণের গ্রহীতা ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনালে লিমিটেডের পরিচালকরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মাধ্যমে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। তা সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা এবং বোর্ড সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে বিভিন্ন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করেন। শুভ্র রানী প্রতিষ্ঠানের নামে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।