নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, অসৎ পথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর, ঘুসখোররা যখন হারাম শরিফে গিয়ে বলে- আল্লাহ আমি হাজির, তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকে, তোমার হাজিরা কবুল হয়নি।
সবাইকে সৎ পথে অর্থ উপার্জনের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা না-ও পাওয়া যেতে পারে। পায়ে হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে। হাজিদের কষ্ট বা ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে, সবকিছু সহজে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করতে হবে।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে কুশলী করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধিলাভ করা যায়। যত বেশি মনোযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে, হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন তত বেশি সহজ হবে।
হজযাত্রীদের ভাগ্যবান হিসেবে অভিহিত করে খালিদ হোসেন বলেন, হজ ভাগ্যের ব্যাপার। টাকা কিংবা বিত্তবৈভব থাকলেই হজ করা যাবে, এ কথা ঠিক নয়। অনেকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আজ যাবে, কাল যাবে করে যেতে পারে না। মানুষ যখন মায়ের পেটে থাকে তখনই কে কতদিন দুনিয়ায় থাকবে, কী পরিমাণ রিজিক পাবে, সৎ কর্ম করবে কী না, হজ করতে পারবে কী না- এ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়ে যায়।
কবুল হজের ফজিলত বর্ণনা করে তিনি বলেন, কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। হাজিদের আল্লাহ সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ করে দেন।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হাব সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।
ঢাকা জেলার বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের মধ্যে থেকে আজ দুটি ব্যাচে সাত শতাধিক হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।