প্রযুক্তি ডেস্ক:
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অ্যানড্রয়েড ফোন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। অনলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্যাদি, লেনদেনের হিসাব সবই থাকে অ্যানড্রয়েড ফোনে। অনেক সময় হ্যাক হয়ে যেতে পারে প্রয়োজনীয় এসব তথ্য। আসুন জেনে নিই অ্যানড্রয়েড ফোন সুরক্ষার কিছু উপায় সম্পর্কে-
অনেক অ্যানড্রয়েড ফোনে কোম্পানি আগে থেকেই কিছু অ্যাপ ইনস্টল করে দেয়। এগুলোর কোনো ব্যবহার নেই কিন্তু নিঃশব্দেই সেসব অ্যাপ ফোনের স্টোরেজ, র্যাম ও ব্যাটারি খরচ করে। এই অ্যাপগুলো ডিলিট করলে ফোন আনস্টেবল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সেটিংসে গিয়ে অ্যাপগুলোকে ডিসেবেল করে দিতে পারেন।
অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন কেনার পরই গুগলের ফাইন্ড ডিভাইস পরিসেবা অন করে রাখুন। তাহলে মোবাইল হারালে তা ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। আপনার ফোন খোয়া গেলে কিন্তু শুধু ডিভাইসটিই হারাবে না, সঙ্গে মূল্যবান ডেটাও চুরি করে নেবে হ্যাকাররা। তাই সাবধান থাকুন প্রথম দিন থেকেই।
বিভিন্ন অ্যাপে বিজ্ঞাপন চলার ফলে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোকে আনইনস্টল করে দিন। এতে ফোন থাকবে সুরক্ষিত।
বেশ কিছু অ্যাপের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও তা ফোনের জায়গা দখল করে থাকে। যা কোনও কাজেই আসে না। আবার এসব অ্যাপ আপডেটও করা যায় না। এগুলোর মাধ্যমে আপনার ফোনে অজান্তেই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। তাই ডিলিট করে দিন এসব অ্যাপ।
মাঝে মধ্যে গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। দীর্ঘদিন এক পাসওয়ার্ড ব্যবহার কিংবা ‘রিমেম্বার মি’ অপশন অন করে রাখা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। পাসওয়ার্ড বদলে ফেললে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকে।
গুগল প্লে-স্টোর ছাড়া অন্য কোনও সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এখানে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে অ্যাপগুলো প্লে-স্টোরে ঠাঁই পায়। তাই তা অনেক বেশি সুরক্ষিত। আর অজানা সোর্স থেকে থার্ড পার্টি অ্যাপ ফোনে ঢুকলে বিপদ হানা দিতেই পারে।
অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে প্রত্যেক সময় স্ক্রিনে ভেসে ওঠে একটি শর্তাবলির পেজ। বেশিরভাগ সময়ই আমরা তা না পড়েই ‘এক্সেপ্ট’ অপশনে টিক দিই। কিন্তু যদি শর্তাবলি পড়ে নিই তবে অনেক বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।
তাছাড়া ফোনের বিভিন্ন অ্যাপে পাসওয়ার্ড চাইলে সেগুলো এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।