জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির উদ্যোগে নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য ৬৩টি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ডিএনসিসি এলাকায় আরও ১০০টি আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করেছে। ‘সবার ঢাকা অ্যাপস’ এর সাহায্যে নগরবাসী সহজে এসব ব্যবহার করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে ‘বিশ্ব শৌচাগার দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শৌচাগারের মূল্যায়ন’ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজেই গণশৌচাগারের অবস্থানসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পাওয়া যায়, যে কোনো নাগরিক প্রয়োজনের সময় তার নিকটস্থ গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত কিংবা অভিযোগ অ্যাপসটির মাধ্যমেই ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারেন।
মেয়র আরও বলেন, নাগরিকদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ডিএনসিসি এবং বিভিন্ন এনজিওর উদ্যোগে নির্মিত সর্বমোট ১৬৩টি গণশৌচাগার সম্পর্কিত তথ্যাদি ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় আতিকুল বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সুস্থ পরিবেশের স্বার্থেই নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থাও সচল রাখতে হবে।ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে বিল্ডিং ডেভেলাপ করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আতিক আরও বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবাই মিলে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।