নিজস্ব প্রতিবেদক
চিত্রনায়ক, পরিচালক, প্রযোজক—একাধিক পরিচয়ে পরিচিত তিনি। সব ছাপিয়ে ভক্তদের কাছে ‘মিয়া ভাই’ হিসেবে পরিচিত। বলছি, নায়ক ফারুকের কথা। তার আরেকটি পরিচয় তিনি রাজনৈতিক নেতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য। বুধবার (১৮ আগস্ট) তার জন্মদিন। বিশেষ দিনটি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) বেডে কাটছে তার। যদিও তিনি জন্মদিন পালন করেন না।
’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে জন্মদিন পালন করেন না ফারুক। এর আগে বরেণ্য এই অভিনেতা রাইজিংবিডিকে জানিয়েছিলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতের পর থেকে বাঙালি জাতির জন্য এই আগস্ট মাস শোকের মাস, বেদনার মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তার জীবন থেকে জন্মদিন পালন বা কেক কাটা তুলে নিয়েছেন বলে জানান এই অভিনেতা।
বরেণ্য এই অভিনেতা প্রায় এক বছর ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন অচেতন অবস্থায় থাকলেও তার স্ত্রী ও পুত্রের বরাতে জানা যায়, জ্ঞান ফিরেছে তার। তবে সুস্থ হয়ে উঠেননি। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। গত ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী ফারহানা ফারুক।
নায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়ন মণি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘মিয়া ভাই’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক। ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে চিত্রনায়ক ফারুক আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।
বিএসডি/এমএম