নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনে একযোগে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।
ক্যাম্পেইনে ২য় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (৩য়) ডোজ ও ১ম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরও যারা ২য় ডোজ গ্রহণ করেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ২য় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪টি কেন্দ্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি কেন্দ্রে বুস্টার টিকা প্রদানের জন্য টিম ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ ১৬টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ১১টি কেন্দ্রে ৪টি টিম কাজ করবে। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ ১০টি কেন্দ্রে ৮টি করে টিম ও ৪টি কেন্দ্রে ৪টি করে টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
একটি টিমে দুজন টিকাদানকারী ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। প্রতিটি টিম ৫০০ জনকে টিকা প্রদান করবেন। বুস্টার ডোজ দিবসের ফ্যাসিলিটিতে কেন্দ্রে নারীদের পর্দাঘেরা স্থানে পৃথকভাবে এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য আপনারা এর আগে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ সপ্তাহ সফলভাবে পালন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই দেশব্যাপী কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১৯ জুলাই(আজ) একদিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা কর্মসূচি উপলক্ষে এক ভিডিও কনফারেন্সে টিকা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিএসডি/ফয়সাল