নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ লেখালেখি নয় সম্পর্ক বুননের দিন। আজ শুধু গল্পের মেজাজে স্বল্প করে জানাবো বিএমইটিকে গতিশীল করতে নানা উদ্যোগের কথা। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি সম্মেলন কক্ষে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার দায়িত্বশীল অবদান’ শীর্ষক এক কর্মশালায় একথাগুলো বলছিলেন বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম।
”বাঙ্গালী আমি,বাংলা আমার মা বাঙ্গালী আমার সন্তান, আমি বন্ধন খুলে জলে-স্থলে করি কর্মসেবার সন্ধান” শিরোনামে
মহা পরিচালকের লেখা থিম সং দিয়ে শুরু হয় কর্মশালা। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সাথে আন্তঃ সম্পর্ক গড়ে তুলে আপনাদরে সাথে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল করে বিদেশগামী কর্মীদের সেবার মান বাড়াতে চাই। আপনাদের চোখ দিয়ে দেখা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যম্যে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, বিদেশগামী কর্মীদের ভোগান্তি কমাতে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ক্লিয়ারেন্স স্মার্ট কার্ড তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে। ‘বিএমইটি স্মার্ট কার্ডের আইডিয়া পরিবর্তন করে আমরা তার বদলে স্মার্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার চিন্তা করছি। আমরা যদি কর্মীদের সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্স করে দেই, সার্টিফিকেটটি ভাজ করে তারা কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন। সেখানে কিউআর কোড থাকবে। সেটি স্ক্যান করে যাচাই করা যাবে। যেকোনও মোবাইল থেকে স্ক্যান করেই তা যাচাই করা যাবে। এখন যে স্মার্ট কার্ড আছে, সেটি আমাদের মেশিন ছাড়া স্ক্যান করার উপায় নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশে কেউ যদি এই ক্লিয়ারেন্সের চ্যালেঞ্জে পড়েন, তাহলে আমার মেশিনে স্ক্যান করে লাভ কী হবে। আমরা কিউআর কোড দিলে তো আর জাল সার্টিফিকেট দিতে পারবে না। এমনকি আমাদের সিস্টেমে সার্টিফিকেটের প্রয়োজনও হবে না। যারা চেক করবেন, তারা ইউনিক নম্বর দিয়ে চেক করবে মেলে কিনা, মিলে গেলেই বুঝবে যে ট্রেনিং পেয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হলে নিজে নিজে ডাউনলোড করতে পারবেন। ৭-৮ কোটি মানুষের টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট কিন্তু নিজেরাই ডাউনলোড করেছেন। তাহলে যারা বিদেশ যাবেন, তারা নিজেরা নিতে পারবেন না? আমার কাছে আসার দরকার কী? আমার কাছে আসলেই তো তার নানান খরচ। এগুলো থেকে আমরা উত্তরণ চাই।’
এছাড়া আমি সাংবাদিক ভাইদের আরো বলতে চাই ভিসা এবং কাজ নিশ্চিত হলে বিদেশগামী কর্মীদের টাকার চিন্তা করতে হবে না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তিনদিনের মধ্যে বিনা জামানতে লোন দিবে। এজন্য আর কাউকে জমি বিক্রি করতে হবে না।
শহীদুল আলম বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, অভিযোগের শুনানি জেলা পর্যায়ে দিয়ে দেবো। যাতে করে রিক্রুটিং এজেন্সিকে গ্রামে গিয়ে জেলায় গিয়ে শুনানি করতে হয়। যার সামনে টাকা দিয়েছিল তার সামনেই সাক্ষী দিক। ঢাকায় বসে না থেকে গ্রামে গিয়ে প্রমাণ দিক যে, প্রতারণা করেনি। আমরা তাদেরকে মানবপাচার আইন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রবাসী কল্যাণ আইনে তো দায়বদ্ধ থাকতে হবে।’ এরপর সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কর্মশালা শেষ করেন তিনি।
এসময় ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অভিবাসন খাতের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/ এলএল