নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ৭ দিন। ইতোমধ্যে রাজধানীর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসতে শুরু করেছেন কোরবানির পশু। তারা আড়াই মণ (১০০ কেজি) ওজনের গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ১ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া যেসব গরু দেখামাত্রই পছন্দ হবে সেগুলোর দাম হাঁকাচ্ছেন দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। আর বড় সাইজের গরুর দাম আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়ায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে অনেকটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় বসানো গরুর হাট ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২-৩ দিন ধরে হাটে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে হাটে আসার পর গত বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টির কবলে পড়েছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা তেমন কোনো গরু বিক্রি করতে পারেননি। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে।
শাহজাহানপুর কোরবানির পশুর হাটে জায়গা নিয়েছেন কুষ্টিয়ার ছাকিন অ্যাগ্রো। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, গত বুধবার এখানে এসেছি। এসেই বৃষ্টির কবলে পড়েছি। আমরা ২৪টি গরু এখানে এনেছি। কয়েকজন এসে দাম করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি হয়নি। আবহাওয়ার উন্নতি হলে হয়তো ক্রেতারা আসতে থাকবেন।
কুষ্টিয়ার আরেক ব্যবসায়ী সুমন বলেন, আমার এখানে সর্বনিম্ন গরুর দাম হচ্ছে এক লাখ ৫ হাজার টাকা। এই গরুতে ১০০ কেজির মতো গোশত হবে।
সাইজ অনুযায়ী দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে জানালে তিনি বলেন, খাবার, চিকিৎসা, পরিচর্যা ও শ্রমিকের খরচ মিলিয়ে এ ধরনের একটি গরু পালতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়। তাই দাম তুলনামূলক বেশি মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই।
এখনতো বৈরী আবহাওয়া। গরু বিক্রি কেমন হতে পারে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আবহাওয়াতো খারাপ। বৃষ্টির কারণে ক্রেতাদের হাটে আসতে একটু অসুবিধায় পরতে হচ্ছে। মাঠে গরু রাখতে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। কারণ একেতে খোলা জায়গা, তার ওপর বেশি বৃষ্টি হলে পানি জমে যেতে পারে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় বসানোর ইজারা পেয়েছে সিকদার কনস্ট্রাকশন। হাটের ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪ টাকা।