খেলাধূলা প্রতিনিধি:
ওয়ান্ডা মেট্রোপলিতানোতে মাত্র দুই মৌসুম ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। তবে এই অল্প সময়েই ক্লাব এবং সমর্থকদের সঙ্গে এক আবেগের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই উরুগুইয়ান। তাই তো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে দলটির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।
সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সুয়ারেজের ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠে সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে হোসে হিমেনেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিলেন স্বাগতিকরা। তবে শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে সেভিয়ার ইউসুফ আন নাসিরি সেই গোল শোধ দিলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় ডিয়েগো সিমিওনের দলকে।
অ্যাটলেটিকোর হয়ে এদিন ম্যাচের শুরু থেকে খেলেছেন সুয়ারেজ। দল যখন ১-০ গোলে এগিয়ে তখন ৬৫ মিনিটে তাকে তুলে নেন সিমিওনে। এর পর টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে সুয়ারেজের অশ্রুসজল চোখ। বেঞ্চে বসা সুয়ারেজ তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে রাখলেও তার চোখের আর্দ্রতা ক্যামেরায় ঠিকই ধরা পড়েছে।
অ্যাটলেটিকো সমর্থকরাও লা লিগা ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। সুয়ারেজকে বিদায় জানাতে ওয়ান্ডায় বিশাল এক ব্যানার টানান তারা, যাতে লেখা ছিল— ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন বানানোর জন্য ধন্যবাদ লুচো।’
গত মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। ৩৮ ম্যাচে ২১ গোল করে অ্যাটলেটিকোর লিগ শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছিলেন। এই মৌসুমটা অবশ্য তার একেবারেই ভালো যায়নি। ৪৩ ম্যাচ খেলে মোটে ১৩ বার বল জালে জড়াতে পেরেছেন তিনি।
অ্যাটলেটিকো ছেড়ে সুয়ারেজ এখন কোথায় পাড়ি জমাবেন, সেটি অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যারিয়ারে শেষ সময়টা নিজ দেশ উরুগুয়ের কোনো ক্লাবে কাটাতে পারেন ৩৫ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার।
বিএসডি/ এমআর