নিজস্ব প্রতিবেদক,
আদালতের নির্দেশের পরও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ২ বছরের শিশু মাইরিনকে। মায়ের কান্নায় পুলিশ হাজির হয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের ধানমণ্ডির বাসায়। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রিয় সন্তানকে ফিরে পাবার আকুতি হতভাগ্য মায়ের।
সন্তানকে এক নজর দেখার জন্য তপ্ত রোদে রাজপথে ঠায় দাঁড়িয়ে মা। নাড়ি ছেঁড়া ধনকে গত আড়াই মাস ধরে একবার চোখের দেখা দেখতে পারেননি হতভাগ্য মা। এক মাসের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ২ বছরের আরেক সন্তানের জন্য মায়ের এ প্রতীক্ষা।
হতভাগ্য মা নীলা আক্তার মাধবী বলেন, আড়াই মাস হয়ে গেছে আমি বাচ্চাটাকে দেখতে পারছি না। আমি তো শুধু আমার বাচ্চাটাকে দেখতে চাচ্ছি, আমি তো অন্য কিছু চাচ্ছি না। আমি বুঝছি না—আমার কার কাছে যাওয়া উচিত কি করা উচিত।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের ছেলের বউ মাধবী আক্তার নীলার কাছ থেকে তার বড় সন্তান শিশু মাইরিনকে আলাদা করে রাখেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মায়ের আকুতিতে সাড়া দিয়ে আদালত সপ্তাহে ২ দিন শিশু মাইরিনকে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করানোর নির্দেশ দিলেও তা না মানার অভিযোগ ভুক্তভোগী মায়ের।
মাধবী বলেন, আমি নাকি কোর্টকে বিভ্রান্ত করে পারমিশন নিয়ে আসছি। ওরা আমার বাচ্চাকে দেখতে দিতে চাচ্ছে না।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও সন্তানকে দেখতে না পেরে যান পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশ প্রতিপালনের ব্যবস্থা করবেন তারা।
ধানমণ্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্র ও শনিবার এবং ঈদুল আজহার দিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে বাচ্চার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন এমন আদেশ আদালতের রয়েছে। আদালতের এমন আদেশ প্রতিপালন অবশ্যই তাদের করতে হবে।
ভুক্তভোগী এই নারীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। এমনকি গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় সন্তানকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগও আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের পরিবারের বিরুদ্ধে। ২০ জুন নির্যাতন, ভ্রুণ হত্যা ও ২ বছরের সন্তানকে আটকে রাখার অভিযোগে স্বামী আরিফের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাধবী নীলা।
বিএসডি/আইপি